ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে হারানোর দিনে স্পট লাইট নিজের দিকে করে রাখলেন লামিন ইয়ামাল। স্পেনকে ফাইনালে তোলার দিনে নিজের নামটা স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখলেন ১৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। মিউনিখে এক রাতেই একাধিক অর্জনের স্বাক্ষী হলেন ‘দ্য ওয়ান্ডার বয়’ খ্যাত এই তারকা।
আসরজুড়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করা এই ফরওয়ার্ড শেষ চারের মঞ্চে নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন আরও একধাপ। ইয়ামালের অসাধারণ নৈপুণ্যে ফ্রান্সের বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা স্পেন ফিরে পায় প্রাণ। ইয়ামালের হাওয়ায় ভাসানো শট সামান্য বাঁক খেয়ে চলে যায় গোলপোস্টের জালে।
দলকে সমতায় ফেরানোর পাশাপাশি রেকর্ডবুকে জায়গা পেলেন ইয়ামাল। বিশ্বকাপ ও ইউরোর ইতিহাসে কম বয়সী ফুটবলার হিসেবে সেমিফাইনালে গোল করার কীর্তি গড়লেন তিনি। ১৯৫৮ বিশ্বকাপে পেলের করা ১৭ বছর ২৩৯ দিনের গোলটি ছাপিয়ে এখন উজ্জ্বল শনিবার পূর্ণ ১৭ বছর বয়সে পা রাখতে যাওয়া এই স্প্যানিয়ার্ড। তবে রেকর্ডের চেয়ে খেলাতেই বেশি মনযোগ দিতে চান ইয়ামাল।
ম্যাচে শেষে লামিন ইয়ামাল বলেন, এসব নিয়ে আমি খুব একটা ভাবি না। আইকন হয়েছি কি-না এসবেরও খবর নেই আমার কাছে। এগুলো তো মাঠের খেলায় কাজে লাগে না। আমার কাজ দলকে সহায়তা করা। সেই চেষ্টাই করি সবসময় এবং এই ম্যাচেও তাই করেছি।
রেকর্ডের কারণে নিশ্চিতভাবেই আলাদা হয়ে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পাবে ইয়ামালের এই গোল। পাশাপাশি তার দর্শনীয় ফিনিশিংটি এগিয়ে আছে এবারের আসরের সেরা গোলের দৌঁড়ে। তবে এই প্রাপ্তির চেয়ে দলকে ফাইনালে তুলতে পরার তৃপ্তিতেই সন্তুষ্ট ইয়ামাল। তিনি বলেন, এই জয় ও ফাইনালে উঠতে পেরে আমি দারুণ আনন্দিত। জানি না টুর্নামেন্টের সেরা গোল কি না। তবে এটা আমার কাছে স্পেশাল এই কারণে যে দল ফাইনালে উঠেছে। নি:সন্দেহে এটা আমার জন্য সুপার স্পেশাল।
বার্সেলোনার জার্সিতেও আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন লামিন ইয়ামাল। সেখানেও কম বয়সে গড়েছেন নানা কীর্তি। এবার ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপেও আলাদা করে নিজের ছাপ রেখে যাচ্ছেন এই ফরোয়ার্ড।
/আরআইএম
Leave a reply