টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ্যতার জন্য প্রতিযোগিতার সূচি ও গ্রুপ বিন্যাসকে দায়ী করেছেন অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ক। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের কাছে হেরে বড় ধাক্কা খায় অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচে খেলতে না পেরেও আক্ষেপ করেছেন এই অজি পেসার। ভ্রমণ ক্লান্তি, খেলার জন্য পর্যাপ্ত সময় না পাওয়াকে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থতার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন এই পেসার।
২০১০ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেকের পর ৬৫ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৭৯ উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক। ২০২১ সালে বিশ্বকাপ জেতা অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য ছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যর্থতাকে সঙ্গী করে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার ৮ থেকে বিদায় নিয়ে হয় অজিদের। বিদায়ের ১৭ দিন পরে মুখ খুললেন মিচেল স্টার্ক। ব্যর্থতা মেনে নিতে পারছেন না তিনি।
মিচেল স্টার্ক বলেন, আমরা গ্রুপ পর্বে ইংল্যান্ডের উপরে শেষ করলাম। কিন্তু দ্বিতীয় দল হিসাবে সুপার ৮-এ গেলাম। সেটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল। তাই অন্য গ্রুপে চলে যেতে হল। দুটো খেলা রাতে খেললাম। তৃতীয় খেলা খেললাম দিনে। ফলে অনুশীলনে সমস্যা হল। বিমান পরিষেবার সমস্যায় সেন্ট ভিনসেন্টে যেতে দেরি হল। গভীর রাতে হোটেলে ঢুকে পর দিন সকাল ১০টায় খেলতে নামতে হল। এ রকম হলে কী ভাবে জেতা যাবে। সূচি করার সময় খেলোয়াড়দের বিশ্রামের দিকটাও তো দেখা উচিত ছিল।
বিশ্বকাপের আগেই ২০২৪ আইপিলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে শিরোপা জেতেন স্টার্ক। কিন্তু বিশ্বকাপের সূচী ও গ্রুপ বিন্যাস নিয়ে নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানান তিনি। প্রথম রাউন্ডে ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে থেকেও আগে থেকে পূর্ব নির্ধারিত গ্রুপে খেলতে হওয়ায় আইসিসিকে কাঠগড়ায় দাড় করান স্টার্ক।
শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৭ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে ছিলেন মিচেল স্টার্ক। ৫ ম্যাচে ৫ উইকেট পেলেও অস্ট্রেলিয়াকে সেমিফাইনালে উঠাতে ব্যর্থ হন স্টার্ক। ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় বয়স হবে প্রায় ৩৭। সে সময় খেলবেন কিনা সেই ব্যাপারে এখনই সিদ্বান্ত নেননি তিনি । এ প্রসঙ্গে মিচেল স্টার্ক বলেন, আমি জানিনা। আমি হয়তো কোনও এক সময় ব্যাপারটা নিয়ে ভাববো। তারপর সিদ্বান্ত নিবো।
সুপার ৮-এ প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারালেও দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে হেরে বড় ধাক্কা খেতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। আফগানিস্তান ম্যাচে ছিলেন না স্টার্ক। টিম ম্যানেজমেন্ট স্টার্কের পরিবর্তে অ্যাগারকে সুযোগ দিলেও উইকেট নিতে ব্যর্থ হন তিনি। আফগান বোলারদের দাপটে ২১ রানে হারতে হয় অজিদের।
ভারতের বিরুদ্ধে জিততেই হতো স্টার্কদের। কিন্তু সেই ম্যাচেও রোহিত শর্মার দাপটে হার মানে অজিরা। বল হাতে ভালো ফর্মে ছিলেন না স্টার্কও। পাঁচ ম্যাচে মাত্র ৫ উইকেট নিয়েছেন। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৮.৫৫। স্টার্কের এক ওভারেই ২৮ রান নিয়েছিলেন রোহিত। সেই ওভারই অস্ট্রেলিয়াকে বড় ধাক্কা দেয়। সেখান থেকে আর ফিরতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত সেমিতে উঠতে ব্যর্থ হয় ক্যাঙ্গারুজরা।
/আরআইএম
Leave a reply