বড় জয় দিয়েই টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন অ্যান্ডারসন

|

ছবি: সংগৃহীত

লর্ডস টেস্টে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষেই বোঝা যাচ্ছিল ইংল্যান্ডের জয় পাওয়া শুধু সময়ের ব্যাপার। হয়েছেও তাই, তৃতীয় দিন খেলা শুরুর এক ঘণ্টার মধ্যে ৪ উইকেট তুলে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১১৪ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে ইংলিশরা। আর এই ম্যাচ দিয়েই টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ইংলিশ পেসার জেমস অ্যান্ডারসন। ফলে জয় দিয়েই ইংলিশরা কিংবদন্তি এই ক্রিকেটারকে বিদায় জানাল।

বিদায়ী টেস্টেও দুর্দান্ত বল করেছেন অ্যান্ডারসন। প্রথম ইনিংসে ১০.৪ ওভার বল করে ১ উইকেট নিলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ছিলেন চিরচেনা রুপে। ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসে ১৬ ওভার বল করে ৩ উইকেট নিয়েছেন জিমি। মেইডেন দিয়েছেন ৭ ওভার। বলা ভালো, ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে এসেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। রাজার মতোই মাথা উচু করে বিদায় নিলেন তিনি।

টেস্টের তৃতীয় দিনে ইনিংস হার এড়াতে অন্তত ১৭১ রান প্রয়োজন ছিল ক্যারিবিয়ানদের। কিন্তু সে রান তুলতে সক্ষম হয়নি সফরকারীরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এদিন দিন শুরু করেছিল ৬ উইকেটে ৭৯ রান নিয়ে। উইকেটের দেখা পেতে এদিন ১৪তম ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় ইংল্যান্ডকে। জসুয়া ডি সিলভাকে আউট করে ইংল্যান্ডকে উইকেট এনে দিয়েছিলেন অ্যান্ডারসনই। ইংলিশ এই পেসারের বলে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে চলে গিয়েছিল উইকেটরক্ষক জেমি স্মিথের গ্লাভসে।

জসুয়ার বিদায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর হয়েছে ৩৭.১ ওভারে ৭ উইকেটে ৮৮ রান। অ্যাটকিনসনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে দ্রুত আরও ২ উইকেট হারায় উইন্ডিজ। ৪১তম ওভারের প্রথম বলে আলজারি জোসেফকে ফিরিয়ে অভিষেক টেস্টেই নিয়ে ফেলেন ১০ উইকেট। এক ওভার বিরতিতে এসে এবার আরেক জোসেফকে ফেরান অ্যাটকিনসন। ৪৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শামার জোসেফ বোল্ড হয়ে যান অ্যাটকিনসনকে স্লগ করতে গিয়ে। তাতে উইন্ডিজের স্কোর হয়ে যায় ৪২.২ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৩ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসের সমাপ্তি হতে পারতো ৪৪তম ওভারেই। তবে ওভারের প্রথম বলে অ্যান্ডারসন কট অ্যান্ড বোল্ড মিস করায় সেটা সম্ভব হয়নি। জীবন পেয়ে মোতি একের পর এক বাউন্ডারি মেরেছেন। মোতির মতো জেইডেন সেলসও একটি চার মেরেছেন। দশম উইকেটে সেলস-মোতির ২৯ বলে ৩৩ রানের জুটিটা শুধু হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছে উইন্ডিজ। ৪৭তম ওভারের শেষ বলে সেলসকে ফিরিয়ে ক্যারিবীয়দের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেন অ্যাটকিনসন। মোতির ৩৫ বলে ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংসটাই উইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। পাঁচটি চার মেরেছেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংস অ্যাটকিনসন শেষ করেছেন ৬১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। অভিষেক টেস্টে ১০৬ রানে ১২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অ্যাটকিনসন।

ইংল্যান্ডের পক্ষে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ ১২ উইকেট নেয়া ফ্রেডেরিক মার্টিনের ১৩৪ বছর পুরোনো রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন অ্যাটকিনসন। ১৮৯০ সালে ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অভিষেকে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন মার্টিন। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১২১ ও ৪৭ ওভারে ১৪৭ (মোতি ৩১, অ্যাথানেজ ২২, হোল্ডার ২০, লুইস ১৪; অ্যান্ডারসন ৩/৩১, অ্যাটকিনসন ৫/৬১, স্টোকস ২/২৫)।

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ৩৭১ (ক্রলি ৭৪, স্মিথ ৭০, রুট ৬৮, পোপ ৫৭, ব্রুক ৫০ , সিলস ৪/৭৭, মোতি ২/৪১, হোল্ডার ২/৫৮)।
ফল: ইংল্যান্ড ইনিংস ও ১১৪ রানে জয়ী।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply