পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি ‘অনৈসলামিক বিবাহে’র অভিযোগে করা ইদ্দত মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। শনিবার (১৩ জুলাই) ইসলামাবাদের একটি আদালত এ রায় দেয়।। ইমরান খানের আইনজীবী ও তার দল পিটিআই এ তথ্য নিশ্চিত করে। রায় ঘোষণা করেন ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের (এডিএসজে) বিচারক আফজাল মাজোকা।
রায়ে আদালত বলেছেন, যদি অন্য কোনো মামলায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা না থাকে, তাহলে ইমরান খান এবং বুশরা বিবিকে অবিলম্বে (কারাগার থেকে) মুক্তি দেয়া উচিত।
এর আগে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি দেশটির সাধারণ নির্বাচনের কয়েক দিন আগে ‘অনৈসলামিক বিবাহ’ বিবাহের অভিযোগে করা ইদ্দত মামলায় রাওয়াল পিন্ডির আদিয়াল জেলা কারাগারে অস্থায়ী আদালতের বিচারক তাদের বিবাহকে ইসলামি বিধি মোতাবেক হয়নি বলে রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ইমরান-বুশরা দম্পতিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
ইমরানের স্ত্রী বুশরার সাবেক স্বামী খাওয়ার ফরিদ মানেকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিনিয়র বেসামরিক বিচারক কুদরতুল্লাহ এই রায় ঘোষণা করেন। মানেকা অভিযোগ করেছেন যে, তিনি নিজ স্ত্রীকে তালাক দেয়ার তিন মাসের মধ্যেই ইমরানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তার সাবেক স্ত্রী বুশরা। সেসময় রায়ে বলা হয়, ইমরান ও বুশরার বিবাহকালীন সময়ে বুশরা ইদ্দতে ছিলেন।
ইমরানের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিজীবন সেসময় টালমাটাল অবস্থা পার করছিল। তোশাখানা মামলায় ইমরান খানকে ১৪ বছর এবং সাইফার মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার পর একই সপ্তাহে আদালতে তার বিরুদ্ধে এ নিয়ে তৃতীয় রায় ছিল এটি। ২০২২ সালে দেশটির পার্লামেন্টের আস্থাভোটে হেরে গেলে ইমরানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়।
উল্লেখ্য, ইসলামি রীতি অনুযায়ী কোনো নারী স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্ত হলে তিন হায়েজ বা তিন মাস পর্যন্ত ইদ্দত পালন করতে হয়। আর স্বামী মারা গেলে চারমাস দশদিন একাকী নারীকে সংযম পালন করতে হয়। এছাড়া সন্তান জন্মের পর নেফাসকালীন সময় তথা চল্লিশ দিন পর্যন্ত ইদ্দতের এই সময়সীমা মেনে চলতে হয়। এসময় সেই নারী নির্দিষ্ট সময় পার হবার আগে পুনরায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারেন না।
/এমএইচআর
Leave a reply