কোটা নিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে আজ। ২০১৮ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে সে রায় দেয়া হয়। যদিও এ রায়ের ওপর রয়েছে আপিল বিভাগের এক মাসের স্থিতাবস্থা।
আজ রোববার (১৪ জুলাই) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন।
রায়ে বলা হয়েছে, কোটা পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের বিষয়ে এ রায় সরকারের জন্য কোনো বাধা তৈরি করবে না। সরকার যদি প্রয়োজন মনে করে, তাহলে কোটা বাড়াতে বা কমাতে পারে। এক্ষেত্রে, রেশিও অব দ্য পার্সেন্টেজ অর্থাৎ শতকরা কত ভাগ কোটা থাকবে, তাও পরিবর্তন-পরিবর্ধন করতে পারে।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, কোনো পাবলিক পরীক্ষায় যদি কোটা থেকে চাকরিপ্রার্থী না পাওয়া যায়, তাহলে সাধারণ মেধা তালিকা থেকে প্রার্থীর মাধ্যমে তা পূরণ করতে সরকারের স্বাধীনতা থাকবে।
২০১৮ সালের এক পরিপত্রে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রেডে কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের রিটে বিষয়টি আদালতে গড়ায়। গত ৫ জুন হাইকোর্ট সে পরিপত্র বাতিল করার আদেশ দেন। সে আদেশ চ্যালেঞ্জ করা হয় আপিল বিভাগে। শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের সে রায়ের ওপর ১ মাসের স্থিতাবস্থা ঘোষণা করে। এরই মধ্যে প্রকাশ হলো হাইকোর্টের সে পূর্ণাঙ্গ রায়।
এদিকে, সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুর ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।
তাদের এক দফা দাবি হলো, সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে।
অর্থাৎ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি সরকারের (নির্বাহী বিভাগ) কাছে, আদালতের কাছে নয়। আর হাইকোর্টের এই পূর্ণাঙ্গ রায়ে সব কোটা বজায় রাখতে বলা হয়েছে। তবে প্রয়োজনে সরকার তা কমাতে বা বাড়াতে পারবে। তবে আপিল বিভাগ স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেয়ার ফলে এ রায় এখনই বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
/এএম
Leave a reply