জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল করিম তার চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, কোটা সংস্কারের দাবি ঘিরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হামলার প্রতিবাদে চাকরি ছাড়ছেন। তবে ঘটনাটিকে ‘দূরভিসন্ধি’ হিসেবে দেখছে জাবি প্রশাসন। একইসঙ্গে কর্তৃপক্ষ বলছে, জাহিদুলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগের তদন্ত চলছে। শাস্তি থেকে বাঁচতেই তিনি চাকরি ছাড়ছেন।
শিক্ষক জাহিদুল করিম ইস্যুতে নিজেদের বক্তব্য স্পষ্ট করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা ছুটিতে অবস্থানকালীন এবং আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলমান অবস্থায় জাহিদুল করিমের চাকরি থেকে অব্যাহতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য’ শিরোনামে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ইমেইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে একটি পত্র পাঠান জাহিদুল ইসলাম। তিনি ২০২১ সালের ৭ আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পিএইচডির জন্য শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন। ইতোপূর্বে তিনি মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্যও দুইবছর ছুটি ভোগ করেছেন। পিএইচডি এবং মাস্টার্স ছুটি মিলিয়ে তিনি ইতোমধ্যে প্রায় ৬ বছর শিক্ষাছুটি অতিবাহিত করেছেন বলেও এতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে চাকরি ছাড়লেন জাবি শিক্ষক
এতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালের ২৮ আগস্ট জাবির সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায়, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এমবিএ ৪র্থ ব্যাচের (২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) ২য় সেমিস্টার পরীক্ষা কমিটি পুনর্গঠন এবং পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের সহযোগিতার অভিযোগে তৎকালীন বিভাগীয় সভাপতি জাহিদুল করিমের বিরুদ্ধে জাবি কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা অধ্যাদেশের ৫(ক) (২) উপধারা অনুযায়ী আনুষ্ঠানিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যেটির কার্যক্রম এখনও চলমান। তদন্ত চলাকালীন তিনি চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।
জাবি কর্তৃপক্ষ বলে, জাহিদুল করিম তদন্তে শাস্তির আশঙ্কা থেকে চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন। একইসাথে তিনি উদ্দেশ্যমূলক ও দূরভিসন্ধি থেকে দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাকে কারণ হিসেবে অব্যাহতি পত্রে উল্লেখ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গঠিত কমিটির তদন্ত চলবে এবং তদন্ত শেষ হওয়ার পর বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
/এনকে
Leave a reply