কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতায় যারা আহত তাদের সকলের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যারা আহত হয়েছেন, তাদের প্রয়োজনে কৃত্রিম হাত-পা লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে। এ সময় কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এভাবে মায়ের কোল খালি হোক তা তিনি চান না।
শনিবার (২৭ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় আহতদের দেখতে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ট্রমাটোলজি অ্যান্ড অর্থোপেডিক রিহ্যাবিলিটেশন (নিটর) পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আহতদের পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। আন্দোলনে এতো মানুষের জীবনের ক্ষতির দায় কার— এমন প্রশ্নও রাখেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অথর্নীতিকে পঙ্গু করে দিয়ে আগের মতো ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতেই এমন নাশকতা চালানো হয়েছে। এ সময় তিনি দেশবাসীর কাছে এই সহিংসতার বিচার চান। বলেন, বাবা-মা হারানোর ব্যথা কী তা তো জানি। সেই কষ্ট বুকে নিয়ে দেশে ফিরে মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এখানে আমার তো কোনো চাওয়া পাওয়া নেই। আমি তো আমার ছেলে মেয়ের জন্যও কিছু করিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী অপরাধটা করেছি? মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করেছি। তিনি বলেন, আজকে ২০২৪ সালের বাংলাদেশ আর ২০০৮ সালের বাংলাদেশ তো এক নয়। আবারও প্রশ্ন রেখে বলেন, আমার কি এটাই অপরাধ যে মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি?
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, আমি যখন সরকারে আসি তখন এই হাসপাতালে একটা লিফট পর্যন্ত ছিল না। এতো উন্নয়ন করেছি বলেই এতো মানুষের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। এ সময় আবারও আবেগতাড়িত হয়ে আর কিছু বলতে পারছি না বলে সংবাদ সম্মেলন শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এটিএম/
Leave a reply