সময়টা স্রোতের বিপরীতে কাটছে পাকিস্তান দলের। ব্যর্থতার গণ্ডি থেকে বেরই হতে পারছে না দলটি। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান দল ব্যর্থ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। আসরে গ্রুপ পর্বের গণ্ডিও পেরোতে পারেনি বাবর আজমের দল। এছাড়া, সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছেও হারতে হয় পাকিস্তানকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই বড় পরিবর্তন আসে পাকিস্তানের কোচিং প্যানেলে। টেস্টের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় সাবেক অজি ফাস্ট বোলার জেসন গিলেস্পির কাঁধে।
আগামী মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে পাকিস্তান দল। এই সিরিজই পাকিস্তানের হয়ে জেসন গিলেস্পির প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তর্ভুক্ত সিরিজের প্রথম টেস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে ২১ আগস্ট। ৩০ আগস্ট করাচিতে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই বাবর আজমদের খেলার ধরণে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন সাবেক এই ডানহাতি পেসার।
পাকিস্তান কোচ জেসন গিলেস্পি বলেন, জাতীয় দলের খেলা দেখে পাকিস্তানের মানুষ এবং মিডিয়া বলুক, এ রকম স্টাইলে দলের ক্রিকেট খেলা উচিত। কোনো সন্দেহ নেই যে ইংল্যান্ড কেমন ক্রিকেট খেলে। সকলেই জানে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের মাইন্ডসেট কেমন। এটাই আমার দলের মধ্যে আনতে চাই। আমার কাজ দলের সবাইকে সমর্থন করা আর ক্রিকেটারদের মধ্যে থেকে সেরাটা বের করে নিয়ে আসা।
ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে কোচিং স্টাফের সমন্বয়ে পাকিস্তান দলের উন্নতি করতে চান গিলেস্পি নিজের সবটুকু উজার করে দিয়ে পাকিস্তানকে আবারও ফিরিয়ে আনতে চান পুরনো রুপে।
গিলেস্পি বলেন, আমি মাত্রই এখানে এসেছি। প্রথমে ক্রিকেটার ও অন্যান্য কোচদের সঙ্গে কিছু বিষয়ে আলাপ করতে চাই। বিশ্বের অন্যান্য দেশ কীভাবে ক্রিকেট খেলছে সে ব্যাপারে স্পষ্ট জানি। খেলার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ খেলোয়াড় নিয়ে স্কোয়াড গড়তে হবে এবং এগিয়ে যেতে হবে এভাবে। সবাই মিলে একসাথে কাজ করলে উন্নতি ও সফলতার পথে এগিয়ে যেতে পারবো।
বিশ্বজুড়ে চলছে ফ্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট। বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পর ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট খেলতে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে অনুমতি দেয়নি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। পিসিবির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নতুন টেস্ট কোচ।
বিষয়টি নিয়ে জেসন গিলেস্পি বলেন, ক্রিকেটাররা কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় রয়েছে। বোর্ড থেকে তারা ভালোই টাকা পাচ্ছে। তাই আমাদের অধিকার রয়েছে ক্রিকেটারকে ফিটনেসের জন্য বিরতি নিতে বলার, যাতে তাদের পারফরম্যান্সে উন্নতি হয়। এছাড়া পাকিস্তানের পরের সিরিজের জন্য মানসিক এবং শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে ক্রিকেটারদের। আমরা চাই ক্রিকেটাররা লিগে খেলে অভিজ্ঞতা অর্জন করুক, কিন্তু পাকিস্তানের কথাও তো ভাবতে হবে।
সবশেষ ১৫ টেস্টে মাত্র ৩ জয়ের পরিবর্তে হারের স্বাদ পেয়েছে ৮টি টেস্টে। ড্র হয়েছে বাকি চারটি টেস্ট। তাইতো পাকিস্তানকে ট্রেকে ফেরানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন গিলেস্পি।
/এনকে
Leave a reply