ভাঙনের কবলে কক্সবাজার সৈকত, উত্তাল ঢেউয়ে উপড়ে গেছে শত শত ঝাউগাছ

|

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সাম্প্রতিক সময়ে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠায় তীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের ঝাউবন। বিশেষ করে কদিন ধরে লঘুচাপ ও ভরা পূর্ণিমার জোয়ার অব্যাহত থাকায় এ ভাঙন দিনদিন আরও বেড়েই চলেছে।

সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট, কবিতা চত্বর, শৈবাল পয়েন্ট, লাবণী এবং কলাতলী পর্যটকদের মূল আকর্ষণ। এসব পয়েন্ট পাঁচ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত। এসব এলাকায় ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগের বাঁধ বানিয়েছে। তবে এসব কোনো কাজেই আসছে না। 

কয়েকদিন ধরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে তিন থেকে চার ফুট উচ্চতায় তীরে আঘাত হানছে। সাগরের ঢেউয়ের চাপে তীর রক্ষায় বসানো জিও ব্যাগগুলো বিভিন্ন স্থানে ছিঁড়ে তছনছ হয়ে যাচ্ছে। জিও ব্যাগের বাঁধ ছাপিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ছে ঝাউবনে। এতে শিকড় উপড়ে ভেঙে পড়ছে ঝাউগাছ।

কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অনিয়মিত জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এ ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুই শতাধিক বড় ঝাউগাছ ও পাঁচ হাজার ছোটগাছ নষ্ট হয়েছে। টেকসই গাইডওয়াল দিয়ে বনায়ন করলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব বলেও মনে করছেন তিনি। 

উল্লেখ্য, সৈকত রক্ষায় কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন ঝাউবন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার অনেকটা এখন নষ্ট হয়ে গেছে।

/এনকে


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply