কোটা সংস্কার আন্দোলনে অস্থির হয়ে ওঠে পুরোদেশ। পরিস্থিত নিয়ন্ত্রণে কারফিউ জারি করে সরকার। ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি। এতে সরকারি অফিস-আদালতের পাশাপাশি বন্ধ থাকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। এ সময়ে ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে ব্যাংকিং খাত।
ইন্টারনেট বন্ধের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে প্রবাসী আয়ে। ৬ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। যা একদিনের আয়ের চেয়েও কম। ব্যাংকাররা বলছেন, ইন্টারনেট থাকায় বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দেশের ব্যাংকিং খাত। আশঙ্কা, রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ হুন্ডিতে চলে যেতে পারে। যদিও বিশ্লেষকদের দাবি, নানা ধরনের প্রোপাগান্ডায় কমতে পারে প্রবাসী আয়।
চলতি মাসের প্রথম ১৮ দিনে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার। মাসের ২৪ দিন শেষে আয় দাঁড়িয়েছে দেড়শ কোটি ডলার। ব্যাংকাররা বলছেন, ইন্টারনেট না থাকায় প্রবাসীরা তাদের আয় ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠাতে পারেনি। রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ হুন্ডিতে চলে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শুধু ইন্টারনেট বন্ধ থাকার কারণে রেমিট্যান্স কমেছে কি-না ক্ষতিয়ে দেখা দরকার। কারণ এ সময়ে রেমিট্যান্স না পাঠানোর জন্য প্রপাগান্ডাও চালিয়েছে অনেকে। বৈধ পথে প্রবাসী আয় বাড়াতে ব্যাংকারদের আবারো তৎপর হবার পরামর্শ এই বিশ্লেষকের।
ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে হুন্ডিতে ডলারের দাম বেশি থাকে। তাই কেউ হুন্ডিতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে তাকে বৈধ চ্যানেলে ফিরিয়ে আনা কঠিন হবে বলেও মনে করেন ব্যাংকাররা।
/এটিএম
Leave a reply