বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হতেই তুমূল আলোড়ন। কারণ ভোটে জিতেছেন ডেনিস হফ। পতিতালয়ের মালিক ডেনিস গত মাসেই মারা গিয়েছেন। তবুও আমেরিকার সংবিধান মেনেই তিনি ছিলেন এই অন্তর্বর্তী নির্বাচনে নেভাদা আসনের রিপাবলিকান প্রার্থী। অন্য দিকে মার্কিনিরাও মৃত প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন হাত উপুড় করে।
৭২ বছর বয়সে মৃত ডেনিস পরাজিত করেছেন ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী লেসিয়া রোমানভকে। এ ক্ষেত্রে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাড়তি সহায়তা ডেনিসকে বিজয়ীর শিরোপা এনে দিয়েছে বলে দাবি স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ডেনিসের পরিবর্তে রিপাবলিকানদের মধ্যে থেকেই কোনো যোগ্য ব্যক্তির হাতে ওই আসনটি তুলে দেওয়া হবে।
আমেরিকায় ‘দালাল’ হিসাবে যথেষ্ট পরিচিতি ছিল ডেনিসের। তিনি মৃত্যুর আগে বেশ কয়েকটি পতিতালয় চালাতেন। আবার একাধিক স্ট্রিপ ক্লাবের মালিকানাও ছিল তাঁর কবজায়। নিজেকে কট্টর ট্রাম্প-অনুগামী হিসাবে তুলে ধরতে নিজের ডাকনামটাও বদলে ফেলেছিলেন ডেনিস। ঘনিষ্টদের কাছে তিনি নিজেকে ‘ট্রাম্প ফর্ম পাহরাম্প’ হিসাবেই পরিচয় দিতেন।
নেভাদার পাহরাম্পে থাকতেন ডেনিস। সেখানেই ছিল তাঁর দালালির বড়োসড়ো ব্যবসা। একাধিক পতিতালয়ের মালিক হওয়ার দরুন এক দিকে যেমন ছিল অঢেল অর্থ, তেমনই অন্য দিকে ওঠা-বসা ছিল সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গেও। গত জুন মাসে নিজের মালিকানাধীন পতিতালয়ে বসে রয়টার্সের কাছে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই ঝকঝকে।
ট্রাম্পকে চাপে ফেলে যুক্তরাষ্ট্রে নিম্নকক্ষ দখল করল ডেমোক্র্যাটরা
মৃত্যুর পরেও হয়তো সে কথাই প্রমাণিত হল! বিরোধীরা পতিতালয়-বিরোধী আন্দোলনকে হাতিয়ার করে তাঁর বিরুদ্ধে ভোট প্রচারে নেমেও হালে পানি পেলেন না!
Leave a reply