ক্ষেপণাস্ত্র নয়, রিমোট কন্ট্রোল বোমায় নিহত ইসমাইল হানিয়া!

|

ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নয়, আগে থেকে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। হানিয়া যে গেস্ট হাউজে অবস্থান করছিলেন; প্রায় ২ মাসে আগে সেখানে পেতে রাখা হয় বোমা। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানানো হয় প্রতিবেদনে। যদিও হামাস ও তেহরানের দাবি, ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হয়েছেন হানিয়া।

মৃত্যুর আগে ইরানের একটি ভবনে অবস্থান করছিলেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। বিস্ফোরণে দেহরক্ষিসহ মৃত্যু হয় তার। কীভাবে মারা গেলেন হামাস প্রধান তা নিয়ে এখনও অস্পষ্টতা রয়ে গেছে। ইরান ও হামাস বলছে, ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই মৃত্যু হয়েছে তার।

তবে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস। অনুসন্ধানী এই প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্র নয় বোমার বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে হানিয়ার। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের অন্তত ৭ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

এতে বলা হয়, নেশাত নামের যে ভবনটিতে ছিলেন হানিয়া সেটি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী দ্বারা সুরক্ষিত ছিল। তবে প্রায় ২ মাস আগেই ভবনটিতে পেতে রাখা হয় বোমা। ইসমাইল হানিয়া ভবনটিতে অবস্থান করার সংবাদ নিশ্চিত হওয়ার পরই রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে এর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

এমন প্রতিবেদন প্রকাশের পর খুব স্বাভাবিকভাবেই আলোচনায় ইরানের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অধীনে থাকা সুরক্ষিত ভবনে এ ধরনের হামলার পর প্রশ্ন উঠেছে দেশটিতে ইসরায়েল কিংবা মার্কিন গুপ্তচরদের অবস্থান নিয়ে।

যদিও ইরানের অভ্যন্তরে ইসরায়েলসহ দেশটির শত্রু রাষ্ট্রের হামলার ঘটনা নতুন নয়। গেল এক দশকে, দেশটির অন্তত ৫ জন পরমাণু বিজ্ঞানী গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছেন।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply