সারাদেশ ডেস্ক:
কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ না নিয়েও গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন মানিকগঞ্জের দুইজন। এর মধ্যে ১২ বছরের মাদরাসা ছাত্র ছায়াদ মাহমুদ সাভারে সংঘর্ষের সময় বাসার নিচে গুলিবিদ্ধ হন। আর রাজমিস্ত্রি তুহিন নারায়ণগঞ্জে কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে প্রাণ হারান। একমাত্র পুত্র সন্তান আর উপার্জনক্ষম মানুষকে হারিয়ে কিছুতেই থামছে না তাদের স্বজনদের আহাজারি।
সাভারের নিউমার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে থাকেন মানিকগঞ্জের সিংগাইরের বাহাদুর খান। এক ছেলে আর দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন। গত ২০ জুলাই সংঘর্ষের সময় বাসার নিচে নেমে গুলিবিদ্ধ হয় মাদরাসা পড়ুয়া ছায়াদ। পরে হাসপাতালে মেলে তার নিথর দেহ।
ছায়াদ মাহমুদের স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে ফুটবলার হওয়ার। মা-বাবা চেয়েছিলের কোরআনের হাফেজ বানাতে। এখন তছনছ সব।
এদিকে, বাবাকে সারাক্ষণ খুঁজে ফিরছে তিন বছরের আয়াত। সে রাজমিস্ত্রি তুহিনের সন্তান। গত ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড এলাকায় কাজ শেষে বাসার ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হন তুহিন। তিনদিন হাসপাতালে থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারীকে হারিয়ে দিশেহারা তার পরিবারের সদস্যরা।
স্বজনহারা এই দুই পরিবারের সদস্যরা জানে না, তাদের কষ্টের কথা কাকে জানাবে, কোথায়-বা দেবে বিচার।
/এটিএম/এমএন
Leave a reply