ব্যর্থতার চাদরে মুড়িয়ে আছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। একের পর এক ব্যর্থতার দায় কোচদের ওপর চাপিয়ে দেয় বোর্ড। নিয়মিত পরিবর্তন আনা হয় কোচিং প্যানেলে। কখনও বরখাস্ত হয়েছেন কোচ আবার কখনও নিজেরাই ছেড়েছেন চাকরি। অথচ সমস্যা যে নিজেদের মাঝেই সেদিকে খেয়াল নেই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের।
কোচদের ভাষা বোঝেন না স্বয়ং পাক ক্রিকেটাররাই। যে কারণে বহুদিনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন নামিদামী কোচরা। ভেস্তে যায় দারুণ সব পরিকল্পনা। পাকিস্তান ক্রিকেটারের ব্যর্থতার পেছনের সে কারণকেই আরও একবার সামনে আনলেন পেসার নাসিম শাহ।
গেল কয়েক বছর ধরেই পাকিস্তান ক্রিকেটের দায়িত্বে আছেন বিদেশি কোচরা। বর্তমানে দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন আছেন সাদা বলের হেডকোচ হিসেবে। এছাড়া সদ্য যোগ দেয়া লাল বলের হেডকোচ জেসন গিলেস্পিও বিদেশি। এসব কোচদের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ স্থাপনের জন্য দোভাষী নিয়োগ করার প্রয়োজন বলে মনে করছেন নাসিম শাহ।
নাসিম শাহ বলেন, বিদেশি কোচদের সঙ্গে ভাষার সমস্যা রয়েছে। ভাষা অনুবাদ করার জন্য আমাদের কাউকে প্রয়োজন। আপনার নিজের ভাষায় কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করা সহজ। ক্রিকেটাররা যেন কোচদের কথা ভালোভাবে বুঝতে পারেন এবং আন্তঃযোগাযোগে সফল হতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। সেজন্য দোভাষী নিয়োগ করতে হবে।
টানা দুটি বিশ্বকাপে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে ম্যান ইন গ্রিনরা। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে পাকিস্তান ছন্দে ফিরবে বলে আশা করছেন নাসিম শাহ।
পাক পেসার বলেন, আমরা অস্বীকার করতে পারি না যে, আমরা ভালো ক্রিকেট খেলিনি (বিশ্বকাপে)। সমালোচনা এরই একটি অংশ। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এটি সহ্য করতে হবে। বাংলাদেশ সিরিজ ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ভালো একটি সুযোগ। আমি ১৩ মাস ধরে লাল বলের ক্রিকেট খেলিনি। এর জন্য কঠোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছি।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যকার দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি ২১ আগস্ট শুরু হবে রাওয়ালপিন্ডিতে। করাচিতে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট মাঠে গড়াবে ৩ সেপ্টেম্বর।
/এনকে
Leave a reply