নেত্রকোণায় প্রতিষ্ঠিত শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.গোলাম কবীর পদত্যাগ করেছেন। বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবি পূরণ না করার প্রেক্ষিতে রোববার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যায় তিনি রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর পদত্যাগপত্রটি পাঠান বলে জানান।
গত রাত পৌনে ১১টার দিকে গোলাম কবীর মুঠোফোনে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার নাম পরিবর্তন, বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধ, নিজস্ব ক্যাম্পাস, হোস্টেলসহ ১১ দফা দাবি জানিয়ে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিল। ৩০তম সিন্ডিকেট সভা ডেকে তাদের একটি দাবি (রাজনীতি মুক্ত) পুরণ করা হয়। অন্য দাবিসমূহ রাষ্ট্রীয় নির্বাহী আদেশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আদেশসহ সময় সাপেক্ষ হওয়ায় আমি বিশ্ব বিদ্যালয়ের সমৃদ্ধি কামনা করে স্বীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। অপর প্রশ্নে তিনি বলেন, ট্রেজারার (কোষাধ্যক্ষ) মহোদয়ও পদত্যাগ করবেন বলে জেনেছি। তিনি ঢাকায় অবস্থান করায় আজ পদত্যাগ করতে পারেনি বলে জেনেছি।
তিনি আরও বলেন, যোগদানের পর আমি আমার অভিজ্ঞতা, সততা, নৈতিকতা, দক্ষতা ও আইন মেনে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা যায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন অব্যাহত থাকুক, এই কামনা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন নীতি পাস হয়। ২০১৮ সালের ১ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রফিক উল্লাহ খান উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হওয়ায় গত ১ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার সুব্রত কুমার আদিত্য ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ৪ আগস্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম কবীর উপাচায হিসেবে যোগদান করেন।
২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করা শেখ হাসিনা এই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠার পরপরই একনেকে ২ হাজার ৬৩৭ কোটি ৪০ লাখ ৯৯ হাজার টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। শহরের রাজুর বাজার এলাকায় টিটিসির একটি তিনতলা ভবনে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
/এটিএম
Leave a reply