প্যারিসের সিন নদীতে অলিম্পিকের বর্নাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তারা ঝলমলে সমাপনী অনুষ্ঠানের সাক্ষী হয়েছে পুরো বিশ্ব। আলোয় ভরা স্টেড দে ফ্রান্সের আতশবাজি উপভোগ করেন স্টেডিয়ামে উপস্থিত সকলে। নয়নাভিরাম দৃশ্যগুলো অনেকেই ধারণ করেন মুঠো ফোনে।
রোববার (১১ আগস্ট) স্থনীয় সময় রাত ৯’টায় শুরু হয় সমাপনী অনুষ্ঠান। কিন্তু গ্রীষ্মের আকাশে তখনও দৃশ্যমান রয়েছে সূর্য। এর মাঝেই প্রজ্জ্বলিত অগ্নিশিখা নিয়ে প্রবেশ করেন ফরাসি সাঁতারু লিওঁ মারশাঁ। এবারের আসরে নিজ দেশের হয়ে চারটি স্বর্ণ জয় করেন তিনি।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শেষবারের মতো মার্চ পাস্টের জন্য জড়ো হন বিভিন্ন দেশের অ্যাথলেটরা। গলায় মেডেল ঝুলিয়ে আনন্দ উল্লাসের মাধ্যমে পুরো স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করেন তারা। প্যারিস অলিম্পিকে সাফল্যের শেষ স্মৃতিটুকু নিজ দেশে নিয়ে যেতে সেল ফোনে ক্যামেরাবন্দী করে রাখেন নিজেদের। যে দেশের অ্যাথলেটদের অলিম্পিক মিশন আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল সে দেশের পতাকা বহন করেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
চোখ ধাঁধানো আয়োজনে নজর কেড়েছে ফরাসি রকব্যান্ড ফিনিক্স। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা উপভোগ করেন বেলজিয়ান সঙ্গীতশিল্পী অ্যাঞ্জেলের পরিবেশনা। সংগীত পরিবেশন করেন ফ্রান্সের ইসিলটও। প্যারিস অলিম্পিকের সমাপনী আয়োজনে বিশেষ অংশ হিসেবে ছিল ভয়েজার। এর মাধ্যমে ফ্রান্সের ঐতিহ্য, বাস্তিলের চেতনা যেমন ফুটিয়ে তোল হয়েছে- ঠিক তেমনি ছোঁয়া পেয়েছে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীও।
হলিউডের অ্যাকশন মুভির ভঙ্গিমায় ফ্রান্সের জাতীয় স্টেডিয়ামে এন্ট্রি হয় টম ক্রুজের। কখনো শুন্যে আবার কখনো মোটরবাইক চালিয়ে দর্শকদের বিনোদন দেন এই অভিনেতা। অলিম্পিক চলাকালী পুরো সময়ই উপস্থিত ছিলেন তিনি; ব্যতিক্রম হয়নি সমাপনী অনুষ্ঠানেও। সিমোন বাইলসের হাত থেকে অলিম্পিকের পতাকা গ্রহণ করেন টম। অলিম্পিকের পরবর্তী আসর বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলেসে। প্রতিকীস্বরূপ পতাকা নিয়েই বাইকে চড়ে মঞ্চ ছাড়ে এই মার্কিন অভিনেতা।
১৬ দিনের আনন্দযজ্ঞের পর্দা নেমেছে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের। ফ্রান্সের জাতীয় স্টেডিয়ামে বসে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন। অলিম্পিকের শুরু থেকে নিরাপত্তা, ফিলিস্তিন ইস্যু চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ালেও ভালোভাবে আসর শেষ করতে পারায় খুশি ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
/আরআইএম
Leave a reply