‘পলকের মৌখিক নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল’

|

প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই সাবেক ডাক, টেলিযাগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইসিটি মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের জন্য দায়ী করা হয়েছে বিটিআরসি চেয়ারম্যান ও সাবেক এনটিএমসির ডিজিকেও।

আজ মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৮ জুলাই প্রথম দফায় তৎকালীন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় সারাদেশে ইন্টারনেট শাটডাউন করা হয়েছিল। আর মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) মহাপরিচালকের নির্দেশে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালীন একাধিকবার দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন হয়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। সারাদেশে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ ও সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নির্দেশক্রমে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। গঠিত কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, ওই সময়ে ডেটা সেন্টারে আগুন লাগার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে ডেটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারণার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন। এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলমান।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply