হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের সমঝোতা হলে ইসরায়েলে হামলা নাও চালাতে পারে ইরান- মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইদিন হোয়াইট হাউজ বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরের লক্ষ্যে মধ্যস্ততাকারীদের সাথে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
বরবারই যুদ্ধবিরতি নিয়ে বেশ তৎপর যুক্তরাষ্ট্র। তবে, মুখে যুদ্ধবিরতির কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড দিচ্ছে উল্টো বার্তা। মঙ্গলবারই ইসরায়েলকে বিপুল অস্ত্র সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সরকার। ২ হাজার কোটি ডলারের নতুন এই সহায়তা প্যাকেজে থাকবে অন্তত ৫০টি এফ-15 ফাইটার জেট। মাঝারি পাল্লার এয়ার টু এয়ার মিসাইল ছাড়াও থাকবে আরও নানা অস্ত্র।
একদিকে দিচ্ছে যুদ্ধ বন্ধের ডাক, অন্যদিকে তেলআবিবকে দিচ্ছে বিপুল অস্ত্র। প্রশ্নবিদ্ধ যুক্তরাষ্ট্রের এমন আচরণ। গাজায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই অবশ্য সমালোচিত ওয়াশিংটনের দ্বিচারিতা নীতি।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা কমাতে কাজ করছে দেশটি। ইরানকেও শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে মার্কিন সরকার। অথচ, বাস্তবতা দিচ্ছে ভিন্ন বার্তা। তেহরান এখনও ইসরায়েলে হামলা না চালালেও মধ্যপ্রাচ্যে নিজেদের সামরিক উপস্থিতি ব্যপক বাড়িয়েছে ওয়াশিংটন। অঞ্চলটিতে নতুন করে পাঠিয়েছে বিমানবাহী রণতরী। মোতায়েন করেছে সাবমেরিনও। যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি শান্ত করার কথা বলে নিজেরাই আবার উসকে দিচ্ছে যুদ্ধ পরিস্থিতি।
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী আচরণের কারণেই এত দির্ঘায়িত হচ্ছে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন। মার্কিন প্রশ্রয়ের কারণেই আন্তর্জাতিক নিন্দা আর চাপকে পাত্তা দিচ্ছে না নেতানিয়াহু প্রশাসন।
/আরআইএম
Leave a reply