রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনের সফলতার কারণ চ্যালেঞ্জার-২!

|

রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয় বাহিনীর একের পর এক সফলতার পর আলোচনায় ‘ব্রিটিশ ট্যাংক চ্যালেঞ্জার টু’। চলমান অভিযানে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে এই ব্রিটিশ ট্যাংকগুলো। যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাপক ধ্বংসক্ষমতার কারণে রীতিমতো কোনঠাসা রুশ সেনারা। গেল বছর ১৪টি চ্যালেঞ্জার-টু ট্যাংক কিয়েভকে সরবরাহ করে লন্ডন।

গেল কয়েকদিন ধরেই ইউক্রেনীয় বাহিনীর আক্রমণে কোনঠাসা রুশ সেনারা। রাশিয়ার একের পর এক এলাকা দখলের পর, আটক করা হচ্ছে রুশ বাহিনীর সদস্যদের। ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর এতটাই বিপাকে আগে পড়েনি মস্কো। আর রুশ ভূখণ্ডে ইউক্রেনীয় বাহিনীর এই সফলতার বিভিন্ন কারণের মধ্যে অন্যতম মনে করা হচ্ছে ব্রিটিশ ট্যাংক চ্যালেঞ্জার টু। রুশ ভূখণ্ডে, পুতিন বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ট্যাংকগুলো নিয়েই তাণ্ডব চালাচ্ছে কিয়েভ সেনারা।

৯০ এর দশকে নির্মিত হলেও ইউক্রেনের সমরভাণ্ডারে অত্যাধুনিক ট্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম চ্যালেঞ্জার টু। এমনকি যেকোনো রুশ ট্যাঙ্কের চেয়েও শক্তিশালী। সোভিয়েত যুগের T-72 ট্যাঙ্কের সরাসরি হামলা সহ্যের ক্ষমতা রয়েছে এর।

ব্রিটেন ছাড়া এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র ওমানের সমরভাণ্ডারে রয়েছে চ্যালেঞ্জার টু। তৎকালীন ভিকার্স ডিভেন্স সিস্টেমের তৈরি ৬৪ টন ওজনের এই যুদ্ধযান পরিচালনায় প্রয়োজন চারজন ক্রু। ২৭ ফুট দৈর্ঘ্যের একেকটি ট্যাঙ্ক নির্মাণে ব্যয় হয় ৪২ লাখ ডলারের বেশি।

চ্যালেঞ্জার সিরিজের ট্যাংকগুলো তুলনামূলক দূরের লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম। তিন মাইল দূর পর্যন্ত লক্ষ্যভেদের রেকর্ড রয়েছে এই সিরিজের, যা এখন পর্যন্ত যেকোনো ট্যাঙ্কের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দূরের লক্ষবস্তু খুঁজে পেতে রয়েছে একটি লেজার-রেঞ্জ ফাইন্ডার, আর অন্ধকারে নিখুঁত হামলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে থার্মাল ইমেজিং সিস্টেম।

২০০৩ সালের ইরাক যুদ্ধে ব্রিটিশ সেনারা চ্যালেঞ্জার টু ব্যবহার করেছিলো। ১২০ টি ট্যাঙ্কের একটিও ধ্বংস করতে পারেনি শত্রুপক্ষ। টানা ১৪টি গ্রেনেডের আঘাতে একটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মাত্র ছয়ঘণ্টা পর আবারও ফিরে আসে যুদ্ধের ময়দানে। ইরাক যুদ্ধ ছাড়া বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশন ও মহড়ায় ব্যবহার করতে দেখা গেছে এটি।

/আরআইএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply