যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে লেবানন ও ইসরায়েল। আর তাই পুরোদস্তুর যুদ্ধের শঙ্কায় আগাম প্রস্তুতি সেরে রাখছে লেবাননের হাসপাতালগুলো। মজুদ করে রাখা হচ্ছে ওষুধসহ দরকারি জিনিসপত্র। যেকোনো সময় পুরো লেবাননজুড়ে হামলা চালানো শুরু করতে পারে নেতানিয়াহুর সেনারা। তাই। হতাহতদের জরুরি চিকিৎসা সেবা যাতে নিশ্চিত করা যায়, সে লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষগুলো।
সরেজমিন দেখা গেছে, থরে থরে জমানো হচ্ছে দরকারি ওষুধপত্র। বিশেষ কক্ষে সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে জরুরি ওষুধসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম। যুদ্ধের ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগাম এই প্রস্তুতি লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি হাসপাতালে।
বৈরুতের মাউন্ট লেবানন মেডিকেল সেন্টারের মতো লেবাননের আরও কয়েকটি হাসপাতালে ব্যস্ত সময় পার করছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিপর্যয় এড়াতে তাদের এই কর্মব্যস্ততা।
মাউন্ট লেবানন হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার এলি গারিওস জানান, আমাদের দ্রুতই দেশের সব হাসপাতালে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আমাদের হাসপাতাল সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পারবে। আশা করছি, যুদ্ধ শুরু হলেও প্রতিদিন ৩০জন গুরুতর আহতসহ আমরা ১০০ আহতদের সেবা দিতে পারবো।
যুদ্ধ শুরু হলে আহত রোগীদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য রাফিক হারিরি ইউনিভার্সিটি হাসপাতালকে আগাম লাল, সবুজ ও ধূসর জোনে ভাগ করেছে কর্তৃপক্ষ। হামলার ধরণ অনুযায়ী এই জোনগুলোতে হবে চিকিৎসা।
হাসপাতালটির চিকিৎসক জিহাদ সাদেহ বলেন, ওষুধ, অস্ত্রোপচারে দরকারি সরঞ্জামের মজুদ করা হয়েছে। যদি লেবাননের ভুখণ্ডে ইসরায়েলিদের আক্রমণ শুরু হয়েই যায় তবে আমাদের হাসপাতাল সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবে। যদিও অর্থনৈতিক দুরাবস্থা আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছ।
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে একই প্রস্তুতি সারছে ইসরায়েলও। মাটির নিচে বাঙ্কার, রক্ত সংরক্ষণ ও ওষুধসহ জরুরি জিনিসপত্রের মজুদ বাড়াতে তৎপরতা দেখা যাচ্ছে সেখানেও।
/এমএইচ
Leave a reply