স্টাফ করেসপনডেন্ট, মুন্সিগঞ্জ:
মুন্সিগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রিয়াজুল ফরাজী (৩৮) নামের এক শ্রমিককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে ‘হত্যা মামলা’ দায়ের করা করা হয়েছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) দিবাগত রাতে, রিয়াজুল ফরাজীর স্ত্রী রুমা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় ‘মুন্সিগঞ্জ-৩’ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবকে প্রধান আসামিসহ ৭ জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাসহ ২০৮ জনকে এজাহার নামায় আসামী করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩শ’ জনকে। মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. আসলাম খান গণমাধ্যমকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অন্য একটি সূত্রমতে, মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, গজারিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেল, মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন, পঞ্চসার ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, রামপাল ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখ, মহাকালি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ঢালী, মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারি, শিলই ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধা, বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন পীর, চরকেওয়ার ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফসার উদ্দিন ভুইয়া (আফছু), সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির মাষ্টার, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুরুজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান লাকুম, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নসিবুল ইসলাম নোবেল, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসাইন সাগর, সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নিবির আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল মৃধা, শহর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক রায়হানুজ্জামান রাসেলসহ সর্বমোট ২০৮ জন।
মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার বলেন, ‘তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।’
প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট, শহরের সুপারমার্কেটে এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য অস্ত্র-ককটেল নিয়ে শহরে প্রবেশ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে হামলাকারীদের গুলিতে নিহত হয় ৩জন। এছাড়াও ৯৫জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন দুই শতাধিক। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন- রিয়াজুল ফরাজী (৩৫), মো. সজল (৩০) ও ডিপজল (১৯)। তারা ৩জনই শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।
/এআই
Leave a reply