ফারাক্কায় বর্ষায় পানি আটকে রাখে না। শুষ্ক মৌসুমে পানি আটকে রেখে বর্ষায় তা ডাইভার্ট করে নিয়ে যায়। বর্ষাখালে ফারাক্কার সব গেট সাধারণত খোলাই থাকে বলে জানিয়েছেন বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ প্রতীম বড়ুয়া।
সোমবার (২৬ আগস্ট) এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পার্থ প্রতীম বড়ুয়া বলেন, এই মুহূর্তে ফারাক্কায় উজানের যে অবস্থা, আমাদের কাছে অবশ্য ১০০ শতাংশ তথ্য নেই, হাইড্রোলজি বা বিজ্ঞান মতে যেটা বুঝে থাকি, গেট এই মুহূর্তে সবগুলো খোলাই রয়েছে। গেট খুলে দিয়ে বাংলাদেশে বন্যা হওয়ার মতো কোনো অবস্থা ফারাক্কাতে নেই। ফারাক্কার গেট রয়েছে ১০৯টি। বর্ষাকালে এগুলো খোলাই থাকে।
তিস্তাপাড়ে বন্যার শঙ্কা রয়েছে কি না এই প্রশ্নের উত্তর তিনি বলেছেন, এই মুহূর্তে তিস্তায় এমন কোনো আশঙ্কা নেই। একইসাথে গঙ্গা-পদ্মা, ফারাক্কার কথাও যদি বলি, ভারত অংশে বন্যা চলছে, তবে আমাদের দেশে এই মুহূর্তে ব্যনার শঙ্কা নেই। গঙ্গার নদীপথে পানি স্থিতিশীল রয়েছে।
এদিকে, টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যার কবলে বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল। বন্যায় বাস্তচ্যুত হয়েছে লাখও মানুষ। প্লাবনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৩ জন।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত গোমতী নদীর ক্যাচমেন্ট এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে এই বছরের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। বাংলাদেশে বন্যা মূলত বাঁধের নিচের দিকের এই বৃহৎ ক্যাচমেন্টের পানির কারণে।
/এএম/এমএন
Leave a reply