উন্নত জীবনের আশা কিংবা জীবিকার তাগিদে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বাংলাদেশি রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা। বৈধ-অবৈধ যেভাবেই হোক, বিদেশে গিয়ে মানবিক কারণ দেখিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করছেন অনেক বাংলাদেশি। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার হিসাবে, গেল পাঁচ বছরে বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি। আশ্রয় পাওয়ার আবেদনে দেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করেছেন তারা।
দৃশ্যমান যুদ্ধ-সংঘাত না থাকলেও ইরাক-সিরিয়া-সোমালিয়ার মতো দেশগুলোর সাথে, এখন অ্যাসাইলাম প্রার্থীদের তালিকায়, ওপরের দিকে অবস্থান বাংলাদেশের। জাতিসংঘের হিসেবে, গত ৫ বছরে বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন, ১ লাখ ৩৭ হাজার বাংলাদেশি। অর্থাৎ, প্রতিদিনে গড়ে ৭৬ জন বাংলাদেশি অ্যাসাইলামের আবেদন করছেন ।
শুধুমাত্র ২০১৬ সালে দেশের বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে অ্যাসাইলামের আবেদন করে বাংলাদেশের ২৮ হাজার ৩৯৫ নাগরিক। মানবিক বিবেচনায় রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশিদের প্রথম পছন্দ ইউরোপের দেশগুলো। গেল ৫ বছরে সর্বোচ্চ ৩২ হাজার ৭০০ বাংলাদেশি অ্যাসাইলামের আবেদন করেন ফ্রান্সে। ইতালিতেও গেল তিন বছরে বাংলাদেশিদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন বেড়েছে ।
ইউএনএইচসিআর-এর পরিসংখ্যান অনুসারে, রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশিদের দ্বিতীয় পছন্দের দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটিতে ৫ বছরে অ্যাসাইলামের আবেদন করেছেন ২৬ হাজারের বেশি বাংলাদেশি। বহুদিন ধরেই, বিশ্বের নানা প্রান্তের বিপদগ্রস্ত মানুষকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে আসছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। গত তিনবছর ধরেই এ দুই দেশেই বাংলাদেশি অ্যাসাইলাম প্রার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। অবশ্য বাংলাদেশে রাজনৈতিক সমস্যা নেই-এমন যুক্তি দিয়ে বাতিল করা হচ্ছে বেশিরভাগ আবেদন।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply