অন্য রাজ্যগুলোকে ‘হুমকি’ দেয়ার অভিযোগে মমতার বিরুদ্ধে এফআইআর

|

ভারতের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর নাম নিয়ে ‘হুমকি’ দেয়ার অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।

দেশটির গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমস বলছে, বৃহস্পতিবার দিল্লি পুলিশ কমিশনারের কাছে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিনীত জিন্দাল।

বিনীত জিন্দাল এক্সে জানিয়েছেন, মমতার বিরুদ্ধে আইপিসির ১৫২, ১৯২, ১৯৬ এবং ৩৫৩ ধারার অধীনে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের কপি রাষ্ট্রপতি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

কলকাতার আর জি কর সরকারি মেডিকেল কলেজে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। প্রথমে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এই প্রতিবাদে যোগ দেন সাধারণ নাগরিকরা। পরে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগ দিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। মমতার পদত্যাগের দাবি করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

এরই প্রেক্ষিতে বুধবার কলকাতায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, পশ্চিমবঙ্গে যদি বিজেপি আগুন লাগায় তাহলে ‘থেমে থাকবে না’ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোও।

মমতা সেসময় বলেন, কেউ-কেউ মনে করছেন, এটা বাংলাদেশ। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। ওরা আমাদের মতো কথা বলে। ওদের সংস্কৃতি, আমাদের সংস্কৃতি এক। কিন্তু মনে রাখবেন, বাংলাদেশ একটা আলাদা রাষ্ট্র। ভারতবর্ষ একটা আলাদা রাষ্ট্র।

সমাবেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, মোদিবাবু, আপনার পার্টিকে দিয়ে আগুন লাগাচ্ছেন? মনে রাখবেন, বাংলায় যদি আগুন লাগান, আসামও থেমে থাকবে না। উত্তর-পূর্বও থেমে থাকবে না। উত্তরপ্রদেশও থেমে থাকবে না। বিহারও থেমে থাকবে না। ঝাড়খণ্ডও থেমে থাকবে না। ওড়িশাও থেমে থাকবে না। আর দিল্লিও থেমে থাকবে না। আপনার চেয়ারটা আমরা টলমল করে দেবো।

আর এই হুঁশিয়ারির পর থেকেই মমতার বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেখাচ্ছেন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা।

মমতাকে পাল্টা জবাব দিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। এন বীরেন সিং এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, উত্তর-পূর্বকে হুমকি দেয়ার সাহস কী করে হলো দিদি আপনার? এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমি। প্রকাশ্যে উত্তর-পূর্ব এবং বাকি জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে আপনাকে। অবিলম্বে বিভেদমূলক রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। সহিংসতা এবং ঘৃণা উস্কে দেয়া বন্ধ করতে হবে মমতাজি। একজন রাজনৈতিক নেতার পাবলিক প্ল্যাটফর্মে সহিংসতার হুমকি দেওয়া অত্যন্ত অপ্রীতিকর।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply