কুষ্টিয়ায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ

|

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি:

কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে তার নিজ দলীয় নেতাকর্মীর মাধ্যমে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে। তবে এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন তিনি।

এ বিষয়ে বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। তবে সেই প্রকাশিত সংবাদের কোনো সত্যতা নেই বলে দাবি করেন তিনি। ৫ আগস্টের পর কিনেছেন অর্ধ কোটি টাকার গাড়ি- রয়েছে এমন অভিযোগও।

আমলা সদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. সাহাজ্জেল হোসেনের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা, বর্তমান প্রধান শিক্ষক আব্দুল গাফফারের কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা, আমলা সদরপুর কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক মাসুম আল মাঝির কাছ থেকে চাঁদা দাবি। আমলা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বর্তমান মেম্বার রমজান আলীর কাছ থেকে ২ লক্ষ, দিশা এনজিওসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও প্রবাসীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন কেউ কেউ।

চাঁদা দাবির এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিন তথ্য সংগ্রহ এবং উল্লিখিত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা যায় সবগুলো অভিযোগই মিথ্যা। তারা বলেন, আমাদের সাথে কোনো প্রকার কথা হয়নি, এমনকি দেখাও হয়নি। এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। এবং হক সাহেবের বিরুদ্ধে যে সব চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা। আমাদের কাছে তিনি কোনো চাঁদা দাবি করেননি।

এ ব্যাপারে মন্তব্য জানতে চাইলে উপজেলা আলহাজ্ব আব্দুল হক বলেন, কোনো কিছু না জেনে, না শুনে আমার নামে যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে তা আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশে করছে একটি মহল। আমাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে দলে বিতর্কিত করার জন্য এসব মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। যার কোনো ভিত্তি নেই।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগে আমলা সদরপুর জাহানারা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যার সত্যতা প্রমাণ করতে পারেননি সেই প্রধান শিক্ষক। এ সময় অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ারও হুঁশিয়ারি দেন এই উপজেলা বিএনপি নেতা।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মিরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক রহমত আলী রব্বানের মধ্যে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন বিষয়ে পাল্টা পাল্টি অভিযোগ শুর হয়। এ বিষয়ে কেন্দ্র থেকে একটি চিঠিও দেয়া হয়। এরপর উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্র।

/এটিএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply