‘মায়ের ডাকের’ সানজিদার ভাইকে আটক প্রসঙ্গে প্রতিবাদ ও আল্টিমেটাম

|

গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে গড়ে ওঠা সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সেনা অভিযানের নামে হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।

আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবাদ জানান মায়ের ডাকের সমন্বয়কারী সানজিদা ইসলাম তুলি। এসময় ৩ দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

সানজিদা বলেন, গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে সেনাবাহিনীর একটি দল মায়ের ডাকের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে নারী কর্মীদের হেনস্থা করে। এসময় তারা তুলে নিয়ে যায় আমার ভাই সাইফুল ইসলাম শ্যামলকে। কিন্তু কী অপরাধে তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো, এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।

মায়ের ডাকের সমন্বয়কারী আরও বলেন, অভিযানের সময় তারা আমাকে খুঁজতে থাকে। আমার পরিবারের সদস্যদের মোবাইল ফোন নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এ অভিযানের বিষয়ে গণমাধ্যমে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) দেয়া বিবৃতির প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান বক্তারা। তারা বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের পেটোয়া বাহিনীর মতো একই কাজ এখনও চলছে। এরা হাসিনা সরকারের দোসর কিনা, এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তারা।

এর আগে, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) মায়ের ডাকের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলির বড় ভাই সাইফুল ইসলাম শ্যামলকে আটক করে সেনাবাহিনী। প্রায় এক যুগ আগে গুম হওয়া বিএনপি নেতা সাজেদুল হক সুমনের ভাই সাইফুল ইসলাম শ্যামল।

এরপর এক বিবৃতিতে আইএসপিআর জানায়, সাইফুল ইসলাম শ্যামল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে একাধিক চাঁদাবাজির অভিযোগ ছিল। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে বিকেল পৌনে ৩টার দিকে কাছের সেনাবাহিনী ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর ৪টা ৪০ মিনিটে তাকে তার নিজ বাসায় দিয়ে আসা হয়।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পূর্ববর্তী তথ্য অনুযায়ী সাইফুল ইসলাম শ্যামলের বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখার দায়ে রমনা থানায় একটি মামলা হয়েছিল এবং যার প্রেক্ষিতে তিনি কারাভোগে ছিলেন। এছাড়াও, আরেকটি মামলায় ২০১৬ সালে তিনি গ্রেফতার হয়েছিলেন বলে জানা যায়।

/এএম


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply