একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় সম্পদের মিথ্যা তথ্য না দেয়ার জন্য জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে হলফনামার তথ্য প্রকাশের তা পর্যালোচনা করে মিথ্যা তথ্য পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা নির্বাচনের নমিনেশন পেপার দাখিল করবেন, এই নমিনেশন পেপারের সঙ্গে দাখিল করা হলফনামা ওয়েবসাইটে প্রকাশ হওয়ার পর তখন এটা পাবলিক ডকুমেন্ট।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মানুষ এখন দুর্নীতি বন্ধ চায়। দেশে দুর্নীতি আছে এটা সত্য। এখন যারা আমাদের জনপ্রতিনিধি হবেন, তারা সৎ নিষ্ঠাবান হবেন এটাই প্রত্যাশা মানুষের। এর প্রথম ধাপ হচ্ছে সব প্রার্থী সৎভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের সম্পদের হিসাব নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী দাখিল করবেন।
মঙ্গলবার দুদক কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান এ মন্তব্য করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোয়নপত্র দাখিল করা প্রার্থীরা যদি তাদের হলফনামায় সম্পদ বিবরণীর ভুল তথ্য দেয় তাহলে দুদকের করণীয় কী? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন। আমার বিশ্বাস নির্বাচন কমিশন বিষয়টি দেখবে। যেহেতু নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় হলফনামার মাধ্যমে প্রার্থীদের নিজের এবং পোষ্যদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের বিষয়টি বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে হলফনামায় অবৈধ সম্পদের কোনো বিষয় থাকলে বিষয়টি দুদকের তফসিলভুক্ত, তাই মনোয়নপত্র দাখিলকারী প্রার্থীদের সম্পদ বিবরণী দুদক পর্যবেক্ষণ করবে।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, কোনো প্রার্থী সরকার বা সাংবিধানিক বা বিধিবদ্ধ কোনো সংস্থার কাছে অসত্য তথ্য দেবেন না। প্রার্থীদের দেয়া এসব তথ্য দুদক সংগ্রহের চেষ্টা করবে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ যেসব সংস্থা সম্পদ-সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখভাল করে তাদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। তবে এই প্রক্রিয়া হলফনামা পাওয়ার পরই শুরু করা হবে জানালেও ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে শেষ করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের মানুষ সৎ ও নৈতিকতাসম্পন্ন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তা না হলে দেশের অগ্রগতিকে টেকসই করা যাবে না। এক্ষেত্রে দুদক আইন অনুসারে দায়িত্ব পালন করবে।
সাংবাদিকরা আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উদযাপন উপলক্ষে দুদক চেয়ারম্যান এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের মানুষ দুর্নীতি চায় না, দুর্নীতিমুক্ত সরকারি সেবা চায়। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস উপলক্ষে আমাদের শপথ হবে, দুর্নীতি ঘটার আগেই তা প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করা।
Leave a reply