গত এক দশকে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসে বেশ কিছু বড় অর্জনের সাক্ষী তাদের ট্রফি কেবিনেট। এই ১০ বছরে তারা দুটি বিশ্বকাপ জিতেছে। এছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সাথে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের রাজদণ্ডও শোভা পাচ্ছে তাদের ট্রফির তালিকায়। তবে একটা ট্রফি অনুপস্থিত। এই সময় তারা একবারও জিততে পারেনি ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিপাক্ষিক টেস্ট সিরিজ।
এই সিরিজকে বলা হয়ে থাকে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি। ভারত দুইবার অস্ট্রেলিয়া সফরও করেছে এর মধ্যে। হোম কন্ডিশনেও সেই সাফল্য ধরা দেয়নি অজিদের কাছে। এবার সেই হারানো গৌরব ফিরে পেতে মরিয়া অজি অধিনায়ক। প্যাট কামিন্সের চোখ এখন সেদিকেই।
সবশেষ ২০১৪-১৫ সিজনে এই সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) পার্থে শুরু পাঁচ ম্যাচের সিরিজ। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে প্যাট কামিন্স তুলে ধরলেন, সিরিজ জিততে কতটা মরিয়া তারা।
প্যাট কামিন্স বলেন, আমার মনে হয়, ড্রেসিংরুমের অর্ধেক সদস্যই বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি জেতেনি। আমাদের জন্য তাই এটা শেষ একটি লক্ষ্য, যেটি পূরণ করার বাকি আছে। গত কয়েক বছরে অন্য প্রায় সব চ্যালেঞ্জেই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছি এবং ভালো করেছি। আরও একটি বছর, আরেকটি অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মে সেটি করতে পারলে সবকিছু একটা পূর্ণতা পাবে। এটা দুই-তিন মৌসুমের ব্যাপার শুধু নয়, প্রায় অর্ধেক প্রজন্মের ব্যাপার। বিশ্বের সেরা দলগুলির একটি ভারতকে এখানে পেয়ে আমরা তাই দারুণ রোমাঞ্চিত।
এদিকে প্রথম টেস্টে ভারতীয় দলে থাকতে পারছেন না নিয়মিত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। পারিবারিক কারণেই খেলার বাইরে ব্যস্ত সময় পার করবেন তিনি। এই টেস্টে মেন ইন ব্লু’দের নেতৃত্ব দেবেন জাসপ্রিত বুমরাহ। ইনজুরির কারণে শামি নেই, আবার অনিশ্চিত গিলও। তাই ভারতীয় দলকে আলাদা পরিকল্পনাই করতে হবে। তা না হলে অপটাস স্টেডিয়ামে বেশ ভুগতে হবে সফরকারীদের। তবে ভারতের এই দলকেও বেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হিসেবে মানছেন কামিন্স। সমীহের আভাস পাওয়া গেলো তার কণ্ঠে।
কামিন্স আরও বলেন, আমাদের দলের প্রায় সবাই আইপিএলে খেলেছি এবং দেখেছি, নতুনরা কীভাবে এসে সরাসরিই মানিয়ে নেয়। ওরা এবার নিয়মিত দু-একজনকে পাচ্ছে না, তবে আমরা খুব ভালো করেই জানি, যাদেরকে তারা বেছে নেবে, তারা টেস্ট ক্রিকেট খেলার মতো যথেষ্টই ভালো।
অস্ট্রেলিয়া দলেও আছে নতুন এক মুখ। পার্থ টেস্ট দিয়েই অভিষেক হবে ওপেনার ন্যাথান ম্যাকসুয়েনির। ডেভিড ওয়ার্নারের অবসরের পর চার টেস্টে ওপেন করেছেন স্টিভেন স্মিথ।
উল্লেখ্য, ৫ ম্যাচ সিরিজের পরবর্তী চারটি টেস্ট হবে যথাক্রমে অ্যাডিলেইড, ব্রিসবেন, মেলবোর্ন (বক্সিং ডে টেস্ট) ও সিডনি (পিঙ্ক টেস্ট)।
/এমএইচআর
Leave a reply