বিরোধীদের দমনে আকস্মিক সামরিক আইন জারির ঘটনায় উত্তপ্ত পূর্ব এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়া। এরই মাঝে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন তার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ ঘটনায় নিজের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন না করতে পারার ব্যর্থতাকে।
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে আজ বুধবার গণমাধ্যমে শেয়ার করা এক বার্তায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন জানান, জরুরি সামরিক আইনের কারণে সৃষ্ট অস্থিরতার জন্য তিনি নিজেকে দায়ী মনে করছেন।
তিনি জনগণের মাঝে ‘বিভ্রান্তি ও উদ্বেগ সৃষ্টির জন্য’ ক্ষমা চেয়েছেন। কিম বলেন, আমি সামরিক আইন সংক্রান্ত সব ঘটনার দায়িত্ব নিচ্ছি এবং প্রেসিডেন্টের কাছে আমার পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল হঠাৎ করেই ‘উত্তর কোরিয়াপন্থীদের’ হুমকির কথা উল্লেখ করে সামরিক আইন জারি করেন। পার্লামেন্টে বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড’র অভিযোগ তোলেন।
প্রায় পাঁচ দশকের মধ্যে গণতান্ত্রিক এ দেশটিতে আকস্মিক সামরিক আইন জারির ঘোষণায় হতবিহ্বল হয়ে পড়েন দেশটির নাগরিকরা। দ্রুতই এটা পরিষ্কার হয়ে ওঠে বাইরের কোনো হুমকিতে নয়, বরং বিরোধী দলকে ‘দমন করতে’ এ সিদ্ধান্ত নেন প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দেশটির পার্লামেন্টের বাইরে গতকাল রাতেই সমবেত হন হাজার হাজার মানুষ। একই সময় প্রেসিডেন্টের ওই পদক্ষেপ জরুরি এক ভোটাভুটির মাধ্যমে আটকে দিতে পার্লামেন্টে ছুটে যান আইনপ্রণেতারা। সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৯০ জন আইনপ্রণেতা এর বিরোধিতা করলে প্রেসিডেন্ট ইউন তা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। এর কয়েক ঘণ্টা পর তিনি আবার হাজির হন। রায় মেনে নেয়ার কথা জানিয়ে ঘোষণা দেন সামরিক আইন প্রত্যাহারের। এমন প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট নিজের দল থেকেই বহিষ্কারের শিকার হতে পারেন।
/এমএইচআর
Leave a reply