আফগানিস্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার দ্বিমুখী নীতিকে ‘ভণ্ডামি’ আখ্যা সাবেক আইসিসি চেয়ারম্যানের

|

নারীদের প্রতি বৈষম্যের প্রতিবাদে আফগান পুরুষ দলের বিপক্ষে সব ধরনের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া। তবে বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্ট খেলতে আপত্তি নেই অজিদের। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ও চলতি বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানদের বিপক্ষে খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। তাদের এমন দ্বিমুখী নীতির বিষয়টিকে ভণ্ডামি বলে অ্যাখা দিয়েছেন সাবেক আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে।

২০২০ সালের নভেম্বরে আইসিসির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন বার্কলে। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি। আইসিসির চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাকে সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা দিয়েছে আফগানিস্তানের পূর্ণ সদস্য থাকা না থাকা নিয়ে ওঠা বিতর্ক। দায়িত্ব ছাড়ার পর যুক্তরাজ্যের দ্য টেলিগ্রাফের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলেছেন বার্কলে।

আইসিসির সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে বলেন, আপনারা যদি সত্যিই কোনো রাজনৈতিক অবস্থান নিতে চান। তবে ওদের সঙ্গে বিশ্বকাপেও খেলবেন না। এটা ঠিক, এতে হয়তো তারা সেমিফাইনালে নাও উঠতে পারে। তবে এটাও মনে রাখতে হবে– নীতি তো নীতিই, অর্ধেক নীতি বলতে তো কিছু নেই।

আফগানিস্তানে মেয়েদের ক্রিকেট নিষিদ্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, এখানে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দোষ নেই। তাদের মেয়েদের ক্রিকেট ছিল এবং পরে তা নিষিদ্ধ হয়। এই কারণে আফগানিস্তানকে নিষিদ্ধ করা তো কোনো ব্যাপারই ছিল না কিন্তু ওদের বোর্ড তো ভুল কিছু করেনি। তারা শুধু রাষ্ট্রীয় আদেশ পালন করেছে মাত্র, যেখানে বলা হয়েছে, কী কী করা যাবে না।

এসময় আইসিসির সাবেক এই চেয়ারম্যান বলেন, আফগানিস্তানে বড় একটি অনুপ্রেরণার নাম ক্রিকেট। তাই এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা মোটেও উচিত নয়। ক্রিকেট হয়তো সেখানে কিছু পরিবর্তন নিয়েও আসতে পারে। ২৫ বছরে শরণার্থী শিবির থেকে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে যাওয়াটা অনুপ্রেরণার গল্পই বটে। আপনি কি সত্যিই সেই গল্পের ইতি টেনে দিতে চান?

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে দ্বিতীয়বারের মতো আফগানিস্তানে শাসনভার গ্রহণ করে তালেবান। ক্ষমতায় আসার পর বেশকিছু পরিবর্তন আনে তারা। বিশেষ করে রক্ষণশীল মনোভাবের কারণে শিরোনাম হয় তালেবান। বন্ধ হয়ে যায় দেশটিতে নারী ক্রিকেটের সকল কার্যক্রম। তবে পুরুষদের ক্রিকেটে কোনো বাধা দেয়নি ক্ষমতাসীনরা।

/এসআইএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply