প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ‘জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাইমস্কেল সংক্রান্ত বিধির বিপরীতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন’ বাতিলের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে সংবাদ সম্মেলন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের ৫৩ বছরের বাস্তবতায় শিক্ষাকে অবমূল্যায়ণ করা হয়েছে। শিক্ষকরা কখনোই যথাযথ মূল্যায়ন পাননি।
তারা বলেন, সরকারি বিধি বিধানের আলোকে ৪৮ হাজার ৭শ’ ২০ জন শিক্ষক টাইমস্কেল ভোগ করার পর হঠাৎ ৮ বছর পর অর্থমন্ত্রণালয় টাইমস্কেল প্রাপ্য হবে না মর্মে একটি পত্র জারি করেছে। একে সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রজ্ঞাপনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষকরা যেন কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে হবে। বৈষম্যের শিকার জাতীয়করণ করা শিক্ষকরা ৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছেন, শিক্ষকদের অমানবিক কষ্টের কথা বিগত স্বৈরাচার সরকারের প্রধানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব কেউই কোনো প্রকার গুরুত্ব দেননি। অবশেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিগত সরকার বিতাড়িত হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বারবার সদয় দৃষ্টি কামনা করা হয়। কিন্তু আজ অবধি এ বিষয়ে কোনো প্রকার পদক্ষেপ না নেওয়ায় শিক্ষকরা মর্মাহত ও সংক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি উদ্বেগ প্রকাশ করছে। একইসঙ্গে অতি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বর্তমান সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবিটি দ্রুত সময়ে মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ সপ্তাহের মধ্যে আমরা শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের চিঠি দেব। ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার শিক্ষকদের দাবি মনে নেবে বলে আশা করছি।
/এমএইচ
Leave a reply