স্টাফ রিপোর্টার:
প্রতীক বরাদ্দের প্রথম দিন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের কামারখন্দ ও সদরে ঘটে যাওয়া কয়েকটি ঘটনার বিষয়ে জানাতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সন্মেলন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এবং সাড়ে ১২টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নিজ নিজ দলের পক্ষ থেকে এ সংবাদ সন্মেলন করা হয়।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু লিখিত বক্তব্যে বলেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের সিদ্বান্ত স্থগিত করায় সিরাজগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি নেতাকর্মী ও ভোটাররা উৎফুল্ল হয়ে উঠে। কিন্তু আওয়ামী লীগ এতে হত:বিহবল হয়ে পরাজয়ের আশংকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে থাকে। এর অংশ হিসেবে তারা সোমবার বেলা ১২টার দিকে কামারখন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস ভাংচুর করে। সন্ধ্যায় শিয়ালকোলে বিএনপি নেতাকর্মীদের মারপিট ও জিব্রাইলের বসতবাড়ি ভাংচুর করে। রাতে ধুকুরিয়া গ্রামে ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও তার গো-খামারে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়াও নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা।
সংবাদ সন্মেলনে বিএনপি নেতা মজিবুর রহমান লেবু, মির্জা মোস্তফা জামান, হারুন অর রশিদ হানান, নাজুমল হাসান তালুকদার রানা, আবু সাঈদ সুইট, অমর কৃষ্ণ দাসসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা: হাবিবে মিল্লাত মুন্না বিএনপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা এখনও প্রার্থীই নির্ধারণ করতে পারেনি। নিশ্চিত পরাজয় জেনে তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষদগার করছে এবং নিজেরা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে অন্যের উপরে দোষ চাপাতে চাচ্ছে। তারা হামলা ও মারপিটের অভিযোগ করলেও তাদের কোন নেতাকর্মী হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। অথচ আওয়ামী লীগের অন্তত: ৪/৫জন নেতাকর্মী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের অন্তত ১০জন নেতাকর্মীকে মোবাইলে ও স্বশরীরে হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সন্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম খান, বিমল কুমার দাস, এ্যাড: কে এম হোসেন আলী হাসান, আব্দুল বারী শেখ, রিয়াজ উদ্দিন, হেলাল উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম শফি ও নারী নেত্রী জান্নাত আরা হেনরীসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a reply