২০১৪ সালে মোদি ম্যাজিকের মাধ্যমে শুরু হয় বিজেপি শিবিরের জয়রথ। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতেও তাদের প্রভাব ছিলো স্পষ্ট। আর ঠিক বিপরীত চিত্র ছিলো কংগ্রেস শিবিরে। নির্বাচনে পরাজয়, আর নেতৃত্বের সমন্বহীনতায় অগোছালোই হয়ে পড়ে ভারতের সবচেয়ে প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী দলটি। সেই খাদের কিনারা থেকে উঠে বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পায় দলটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা-দূর্নীতি আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মতো ইস্যুগুলোকে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করেই সাফল্যের হাসি হেসেছেন রাহুল গান্ধি। বিপুল এই সফলতা তৃণমূল পর্যায়েও শক্তিশালী করেছে দলটিকে, যা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখবে।
অশোক ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মহেশ রঙ্গরাজন বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে কংগ্রেস তৃণমূল পর্যায়ে তার হারানো শক্তি ফিরে পেয়েছে। ধর্মীয় উত্তেজনা-গোহত্যা-অর্থনৈতিক সংকট-দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়া এসবই মূলত পতনের কারণ হয়েছে বিজেপির।
যদিও বিধানসভার হারকে ভরাডুবি মানতে নারাজ বিজেপি শিবির। বিধানসভার ফলাফল লোকসভায় প্রভাব ফেলবে না বলেই দাবি করছে দলটি।
এদিকে, বিজয়ের পর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি বলেন, জনগণ ভোট দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপির ‘ভালো দিনের’ নামে মানুষ হত্যাকে তারা সমর্থন করবে না। মানুষ বিভাজন চায় না। কংগ্রেসকে সমর্থন দেয়া মানেই ঐক্যবদ্ধ ভারত।
Leave a reply