প্রতীকী ছবি।
বিশেষ প্রতিবেদক:
অবৈধভাবে আসা মোবাইল হ্যান্ডসেটের কারণে বছরে ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে দেশ। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার। ভাবিয়ে তুলেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়কেও।
এই প্রেক্ষাপটে চলতি বছরই চোরাই মোবাইল হ্যান্ডসেটের ব্যবসা বন্ধ হচ্ছে। পুরোপুরি কার্যকর হবে ন্যাশনাল ইকুয়েপমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন রেজিস্টার (এনইআইআর) পদ্ধতি। এতে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আনা হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
এজন্য এনইআইআর সিস্টেম বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ‘সিনেসিস আইটি’র সাথে চুক্তি নবায়নের প্রস্তাব করা হলেও এই প্রক্রিয়া থেকে সরে এসেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
সফটওয়্যার উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) পক্ষ থেকে টেন্ডার ছাড়াই সিনেসিস আইটিকে কাজ দেয়ার বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়। পাশাপাশি ক্রয় সংক্রান্ত বিধিমালা অনুযায়ী উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
বেসিস সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির বললেন, ওরাকলের ধোঁয়া তুলে বিটিআরসিতে পতিত সরকারের যারা কাজ করছেন এখনো, যারা চাকরি করছেন, তারা চেষ্টা করছিলেন ডাইরেক্ট পারচেস মেথড টেন্ডার ছাড়ে কাজটা একজনকে দিয়ে দেয়ার জন্য। আগের টেন্ডারে সরকার প্রতিবছর তাদেরকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার অর্ডার দিতে যাচ্ছিলেন। এই ব্যয়ের পরিমাণ এখন অনেক কমে আসবে এবং সরকার এর থেকেও ভালো একটা সিস্টেম পাবে।
এক বছরের জন্য এনইআইআর সিস্টেম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় ৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকার ব্যায় ধরা হয়। বেসিসের আপত্তি আমলে নিয়ে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি থেকে সরে এসে গুণগত মান ও ব্যয়ভিত্তিক নির্বাচন পদ্ধতিতে এনইআইআর সিস্টেম বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিটিআরসির কমিশন সভা।
এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের পর এনইআইআর চালুর জন্য আরো সাত মাস সময় লেগে যেতে পারে বলে মত দেয় বিটিসি কমিশন। পাশাপাশি বেশ কিছু সুবিধা ও অসুবিধার কথাও তুলে ধরা হয়।
তবে স্থানীয় হ্যান্ডসেট নির্মাণকারীদের দাবি, চোরকারবারীদের দাপটে হুমকির মুখে স্থানীয় ১৭টি মোবাইল সেট নির্মাণ শিল্পের বিনিয়োগ। তাই এনইআইআরের পুরো সিস্টেম দ্রুত চালুর দাবি তাদের।
আইস্মার্টইউ টেকনোলজিসের সিইও রেজওয়ানুল হক বলেছেন, বিটিআরসি চেক করছে যে এটার প্রকিউরমেন্ট মেথড অথবা এটার যে বার্ষিক মেইনটেনেন্স আছে সেটাকে যদি নতুনভাবে করা যায়, এটা যদি বাস্তবায়ন করা যায়। আমরা বিটিআরসি থেকে বারবারই বলছিলাম যে আমাদের একটা নির্দিষ্ট তারিখ দরকার, এটা বাস্তবায়ন করার তারিখ। যতটুকু আমি জানি, বিটিআরসি আমাদেরকে বলেছে যে, যেভাবে হোক তারা এই বছরের মাঝামাঝি অথবা শেষ কোয়ার্টারের বা থার্ড কোয়ার্টারের মধ্যে এটা চেষ্টা করবে এটাকে ওপেন করার জন্য।
অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধের প্রক্রিয়া দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করার তাগিদ এসেছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় ও এনবিআর থেকেও।
/এমএন
Leave a reply