শামীম আল মামুনঃ
তিন দফা দাবিতে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশনের চতুর্থ দিন বুধবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর চিকিৎসার জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে তিন সদস্যের মেডিকেল টিম তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। মেডিকেল টিমের পরামর্শে লতিফ সিদ্দিকীকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর দুপুর দেড়টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লতিফ সিদ্দিকীকে ঢাকা রেফার্ড করেন।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণের জন্য বলেছেন। এরপর সরকারি এ্যাম্বুলেন্সে করে লতিফ সিদ্দিকীকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম জেলা সিভিল সার্জনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান করে ৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মোফাজ্জল হোসেন জানান, মেডিকেল বোর্ড গঠনের পর মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়। তারা লতিফ সিদ্দিকীকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। ওষুধ দেয়া হলেও তিনি খাচ্ছেন না। ফলে শরীর ক্রমেই দুর্বল হয়ে পড়ছে। ওনার হার্টে আগেই দুইটা রিং পড়ানো আছে। উচ্চ রক্তচাপসহ আরো অসুখ রয়েছে। তিনি তিন বেলা খাবারের আগে-পরে নিয়মিত ওষুধ খান। অনশন করার পর থেকে কিছুই খাচ্ছেন না।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকীর গাড়ি বহরে হামলাকারী চারজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত রোববার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের কালিহাতীর গোহালিয়াবাড়ি ইউনিয়নের সরাতৈল-বল্লভবাড়ি এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী লতিফ সিদ্দিকীর কর্মী-সমর্থক ও তার গাড়ী বহরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
Leave a reply