একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতি’ হয়েছে বলে অভিযোগ করে দ্রুত নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন চেয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন।
আজ রোববার রাত ৮টার পর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানানোর জন্য আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন বলেন, দেশের প্রায় সব জায়গা থেকে আমরা ভোট কারচুপির অভিযোগ পেয়েছি। এ কারণে আমাদের শতাধিক প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে ভোট বর্জন করেছেন।
কামাল হোসেন বলেন, নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়েছে। আমরা এর ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি। তিনি আরও জানান, আগামীকাল ঐক্যজোটের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে কোনো কর্মসূচি দেয়া হবে কিনা তা ঘোষণা করা হবে।
এর আগে বিকালে ড. কামাল হোসেন বলেছিলেন, ‘মিনিটে মিনিটে চারদিক থেকে ফোন আসছে। দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও এমন অবস্থা।’
সকাল পৌনে ৯টায় স্ত্রী ড. হামিদা হোসেন এবং দুই মেয়েকে নিয়ে রাজধানীর ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন ড. কামাল হোসেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হচ্ছে। কিন্তু সারা দেশ থেকে যে খবর আসছে তা উদ্বেগজনক। বেশিরভাগ জায়গায় বিরোধী দলের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। সরকারি দলের লোকজন কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে। এ খবর সত্যি দুঃখজনক’।
তিনি বলেন, ‘এটাকে ভোট বলে না। ভোট জালিয়াতি, ভোট ডাকাতির চাইতেও কঠিন কোনও শব্দ থাকলে তা বলতে হবে। কারণ এসব পুরনো শব্দ। মানুষের মতো এবার ভোটও গুম করা হয়েছে।
পুরো নির্বাচন ব্যবস্থাকেই ধ্বংস করা হয়েছে। এ রকম একটি ভোট দেখার জন্য এই ডিসেম্বরের দেশ স্বাধীন হয়নি। স্বাধীনতার জন্য লাখ লাখ মানুষ জীবন দেয়নি।’
প্রসঙ্গত, রোববারের নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পথে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট। রাত ৮টা পর্যন্ত ঘোষিত ফলাফলে ২৯৯ আসনের মধ্যে ৬২ আসনে মহাজোট প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। এছাড়া বাকি প্রায় সব আসনেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা এগিয়ে আছেন।
Leave a reply