শপথ নেননি ঐক্যফ্রন্টের বিজয়ী সাত প্রার্থী। নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী পরস্থিতি জানতে ও জানাতে সারা দেশের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা জড়ো হয়েছেন গুলশানে।
সারা দেশের ২৯৯ আসনের ধানের শীষের প্রার্থীদের নিয়ে এ বৈঠক বেলা ১২ টায় শুরু হয় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে।
বৈঠকে শুধু বিএনপি-ই নয়, সঙ্গ দুই রাজনৈতিক জোটের শরিক দলগুলোর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত রয়েছেন। নির্বাচনের পর বড় ধরণের এই বৈঠকটিকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট।
এই বৈঠক থেকে তৃণমূল নেতাদের মতামতের ভিত্তিতে গুরুত্বপূ্র্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে বিএনপির হাইকমান্ড।
প্রার্থীদের কাছ থেকে ‘ভোট কারচুপি’, ‘কেন্দ্র দখল’, ‘ভোট ডাকাতি’র তথ্য ও অভিযোগের প্রমাণ সংগ্রহ করবে বিএনপির হাইকমান্ড। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে অভিযোগ আকারে দেয়া হবে নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন দফতরে। বিদেশি কূটনীতিকদেরও বিষয়গুলো জানানো হবে।
বিদেশি কূটনীতিকদের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বলা হবে যে, আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ভোট হওয়া সম্ভব নয়। তাই জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি সুষ্ঠু ভোটের দাবি জানাবে বিএনপি শরিকরা।
সূত্র জানায়, আজকের বৈঠকে জোটের পরবর্তী কর্মসূচিও ঠিক করা হবে। আগামী দিনে জোটের কার্যক্রম কি হবে সে বিষয়ে তৃণমূলের মত জানতে চাওয়া হবে। সেই আলোকে সিদ্ধান্ত হবে।
বৈঠক শেষে বিকাল তিনটার দিকে নির্বাচনের ফল বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দেবে বিএনপি জোটের নেতারা।
নির্বাচন পরবর্তী বৈঠক উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর থেকেই প্রার্থীরা আসতে শুরু করেন গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে।
বেলা ১১টার দিকে গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশ করার সময় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা আসম আব্দুর রব সাংবাদিকদের বলেন, ৩০ তারিখে কোনো ভোট হয়নি, ভোট ডাকাতি হয়েছে। রাতেই ব্যালটে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়েছে।
কর্মসূচির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা হঠকারী কোনো সিদ্ধান্তে যাব না। মাঠপর্যায়ে ভোটারদের কাছে যাব। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করবো।
বৈঠকে উপস্থিত রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ দলটির সিনিয়র নেতারা।
প্রসঙ্গত, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিএনপি জোটের। বিএনপির নেতৃত্বাধীন দুই জোটের ২৭টি দল মিলে ২৯৯ (এক আসনে প্রার্থীর মৃত্যুজনিত কারণে ভোট হয়নি) আসনের মধ্যে পেয়েছে মাত্র ৭টি আসন। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮ আসনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে।
Leave a reply