কুমিল্লার লাকসামে পিতার কর্মস্থলে এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শুক্রবার ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ওই কিশোরীর পিতা আবুল কাশেম খাঁন বেশ কিছুদিন ধরে কৃষ্ণপুর এলাকায় তাজুল ইসলাম মজুমদারের (৪২) মাছের পুকুরে পাহারাদারের কাজ করতো। পুকুরের পাশেই একটি টিনের ঘরে পিতা-মাতা ও একভাইসহ বসবাস করতো ওই কিশোরী। গত ৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুকুরের মালিক তাজুল ইসলাম মজুমদার কৌশলে ঘরের উত্তর পাশে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এ সময় কিশোরীর মা হোসনে আরা বেগম ঘুমিয়ে ছিলেন এবং পিতা পুকুর পাহারায় ব্যস্ত ছিলো। ঘটনার পর কিশোরী কান্নাকাটি করতে থাকে। কিশোরীর ভাই ফিরোজ মাহমুদ বাইরে থেকে এসে কান্নার কারণ জানতে চাইলে তাজুল ইসলাম তাকে মারতে আসে।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম মজুমদার কৃষ্ণপুর এলাকার মৃত আবু তাহের মজুমদারের ছেলে। এদিকে শুক্রবার ঘটনাটি স্থানীয় উত্তরদা ইউপি চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদকে জানালে তিনি আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেন। কিশোরীর পিতা আবুল কাশেম খাঁন বাদী হয়ে লাকসাম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে লাকসাম থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাজুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে লাকসাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, ভিকটিমের শারীরিক পরীক্ষাসহ ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত আসামি তাজুল ইসলাম মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার তাকে কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করা হবে।
Leave a reply