বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মঙ্গলবার রাত ১.২০ মিনিটে রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডের বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে এম কে আনোয়ার মৃত্যুবরণ করেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন।
এম কে আনোয়ারের মৃত্যুতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক প্রকাশ করেছেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এম কে আনোয়ার গত দু’বছর ধরে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন বলে যমুনা নিউজকে জানিয়েছেন তার আত্নীয় শামীম রেজা। গত বছর তার হৃৎপিণ্ডে পেসমেকার সংযোজন করা হয়। গত মাসেও তিনি ভারত থেকে চিকিৎসা নিয়ে এসেছিলেন। এরপর কিছুদিন সুস্থ থাকলেও সোমবার সকাল থেকে তার শরীরে জ্বর আসে। চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বর কমানোর জন্য ওষুধ দেয়া হলেও দ্রুত তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। একপর্যায়ে নিজ বাসাতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
রাজধানীতে তিন দফা জানাজা শেষে হিমাগারে রাখা হয়েছে সাবেক মন্ত্রী, বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ারের মরদেহ। কাঁটাবন মসজিদ, পল্টন বিএনপির দলীয় কার্যালয় ও সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয় বর্ষীয়ান এ নেতার। যেখানে দলীয় নেতা-কর্মীসহ স্বজন-সহকর্মীরা অংশ নেন। এম কে আনোয়ারের এক ছেলে ও মেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। তারা দেশে ফেরার বুধবার কুমিল্লার হোমনায় পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে পরিবার। বিএনপি নেতারা বলছেন, এ সময়ে বড় বেশি দরকার ছিলো তাঁর মত সৎ ও সাহসী নেতৃত্বের।
এম কে আনোয়ারের ১৯৩৩ সালে কুমিল্লার হোমনায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তৎকালীন পাকিস্তান ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে তিন দশকেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালন করেন। অবসরের পর নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি বিএনপি’র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। পাঁচবার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এর মধ্যে দুইবার মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply