সিলেটের বালাগঞ্জে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নিহত ছাত্রদল নেতা সায়েম আহমদ সোহেলের কবর জিয়ারত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা।
সোমবার বিকালে তারা সোহেলের পারিবারিক কবরস্থানে গিয়ে তার কবর জিয়ারত করেন। এ সময় তারা সেখানে ফাতেহা পাঠ ও তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।
মির্জা ফখরুলসহ নেতারা সোহেলের পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। এ সময় সোহেলের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়ে।
প্রসঙ্গত, ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সায়েম নিহত হওয়ার ঘটনা খতিয়ে দেখতে ও তার স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সিলেটে যান।
বেলা সাড়ে ১১টায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন তারা। বিমানবন্দরে দলীয় নেতারা স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় নেতাদের।
পরে সিলেটে শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে পুনরায় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনবিষয়ক এজেন্ডা থাকলেই কেবল প্রধানমন্ত্রীর সংলাপে অংশ নেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
তিনি বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী আবার সংলাপের ডাক দিয়েছেন। তবে সংলাপের এজেন্ডা কী হবে সেটি জানানো হয়নি।
নির্বাচনের আগে যেসব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ হয়েছিল, তাদের সঙ্গে আবারও সংলাপ হওয়ার কথা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচনের আগে ওই সংলাপে অংশ নিয়েছিল বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, জাতীয় পার্টি, যুক্তফ্রন্টসহ আরও বহু দল। ওই সংলাপের সময়ই বিরোধী দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা ঘোষণা করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এজেন্ডায় যদি বিগত নির্বাচন বাতিল করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচনের বিষয় থাকে, তা হলে আমরা সংলাপ নিয়ে চিন্তাভাবনা করব। কারণ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যে সংলাপ হয়েছিল তা অর্থবহ হয়নি।
জামায়াত নিয়ে ড. কামালের বক্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জামায়াত নিয়ে কামালের বক্তব্য গণফোরামের। এটি ঐক্যফ্রন্টের বক্তব্য নয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা নিজেদের মধ্যে এ নিয়ে এখনও কোনো আলাপ-আলোচনা করিনি।
জামায়াত ইস্যুতে ঐক্যফ্রন্টে ফাটল ধরবে কিনা জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঐক্যফ্রন্টে কোনো ফাটল ধরার সুযোগ নেই। অটুট থাকবে। কারণ আমরা অভিন্ন দাবিতে একসঙ্গে আন্দোলন করছি।
উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, উপজেলা নির্বাচনে এলে তো সরকার পরিবর্তন হয় না। কাজেই এটি নিয়ে এতটা গুরুত্ব দেয়ার কিছু নেই।
‘তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশন যে অযোগ্য বিশ্ব তা দেখেছে। তাদের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচন হতে হবে সব দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ নির্বাচন।
এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন জাসদ সভাপতি আ স ম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক প্রমুখ।
Leave a reply