আরিফুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা
বাংলাদেশের স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সবচেয়ে উচ্চতম ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়। জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস এ খবরটি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ভাস্কর্যটি নির্মাণ করবেন মৃণাল হক।
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় বঙ্গবন্ধুর উচ্চতম ভাস্কর্য নির্মাণের খবরে উচ্ছাসিত চুয়াডাঙ্গাবাসী। মঙ্গলবার সকালে খবরটি জানাজানি হলে উচ্ছাস প্রকাশ করেন মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষ।
জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন জানান, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আজ আমি অনেক আনন্দিত। কারণ চুয়াডাঙ্গাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পুরণ হতে চলেছে। তিনি জানান, এমন মহৎ কাজে আমার পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি জেলা প্রশাসনকে।
চুয়াডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার নুরুল হক মালিক জানান, মুক্তযুদ্ধের স্মৃতিময় জেলা হিসাবে চুয়াডাঙ্গা জেলা নিজেকে মেলে ধরলেও দেশ স্বাধীনের ৪৮ বছরেও বাংলার স্থাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কোন ভাস্কর্য চুয়াডাঙ্গাতে নির্মাণ করা হয়নি। তবে দেরিতে হলেও ভাস্কর্য নির্মাণের খবরে খুঁশি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস জানান, চুয়াডাঙ্গাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা এবার পুরণ হতে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এবার চুয়াডাঙ্গায় নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য। যেটি নির্মিত হবে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে। এর উচ্চতা হবে একশ ফিট। ভাস্কর্যটি নির্মাণ করবেন মৃণাল হক।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, চুয়াডাঙ্গায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটি নির্মিত হলে এটিই হবে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য। কারণ হিসাবে তিনি জানান, চট্রগ্রামে রাজউকের তত্ত্বাবধানে বঙ্গবন্ধুর যে ভাস্কর্যটি রয়েছে সেটির উচ্চতা ৬৬ ফিট, বিমান বন্দরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক যে ভাস্কর্যটি রয়েছে তার উচ্চতা ৫৩.৫০ ফিট।
ভাস্কর্য নির্মাতা মৃণাল হক জানান, চুয়াডাঙ্গার একশ ফিটের এই ভাস্কর্যটি হবে বাংলাদেশের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে উচ্চতম ভাস্কর্য। এটি নির্মাণ করতে সময় লাগবে ৫ মাস। তবে ভাস্কর্যটি নির্মাণে কতটাকা ব্যয় হবে তা জানাতে পারেননি তিনি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সন্মেলন কক্ষে একটি মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, আলমডাঙ্গার মেয়র হাসান কাদির গণু, ভাস্কর্য নির্মাতা মৃণাল হকসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে তারা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েল টেনিস গ্রাউন্ডের পাশে প্রাথমিক জায়গা নির্ধারণ করেন এবং জায়গাটি ঘুরে দেখেন।
Leave a reply