ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন, প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা জেরেমি করবিন। আজ রাতেই হতে পারে ভোট। আস্থা ভোটে মে’র পরাজয় হলে, আট মাসের মাথায় নতুন করে সাধারণ নির্বাচনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাবে যুক্তরাজ্য।
মঙ্গলবার হাউজ অব কমন্সে যুক্তি-তর্ক শেষে ভোটাভুটি হয়, থেরেসা মে’র উপস্থাপন করা ব্রেক্সিট বিলের ওপর। আইন হিসেবে কার্যকরে, ৬৫০ জন আইনপ্রণেতার মধ্যে অন্তত ৩২০ জনের সমর্থন দরকার ছিল বিলটিতে। প্রয়োজনের তুলনায় ১১৮ ভোট কম পড়ে। ফলে, ২৩০ ভোটের বিশাল ব্যবধানে ভেস্তে যায় বিলটি।
এটিকে ১৯২০’র দশকের পর কোনো ব্রিটিশ সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা আখ্যা দিয়েছেন লেবার পার্টির নেতা করবিন। আহ্বান জানিয়েছেন সরকার ভেঙে দেয়ার। আস্থা ভোটে জিতলে ব্রেক্সিট কার্যকরে প্ল্যান-বি উপস্থাপনের জন্য তিনদিন সময় পাবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। সম্ভাব্য সমাধান খুঁজতে আলোচনায় বসবেন বিরোধী দলের সাথে।
ভোটের পর মে বলেন, “হাউজ যে রায় দিয়েছে, তা মেনে নেবে সরকার। এটা স্পষ্ট যে বেশিরভাগ আইনপ্রণেতাই বিলটি সমর্থন করেন না। কিন্তু, তারা কী সমর্থন করেন, তা আজকের ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট নয়। ব্রেক্সিট কার্যকরে ব্রিটিশদের জনমত কিভাবে বাস্তবায়ন করা উচিত, সে ব্যাপারেও স্বচ্ছ ধারণা নেই কারও। এক্ষেত্রে আস্থা ভোটে উৎরে গেলে সংকট সমাধানে সরকারকে সহযোগিতার বিকল্প নেই।”
যদিও নতুন করে ব্রেক্সিট চুক্তির শর্ত নির্ধারণে আগেই অসম্মতি জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ অবস্থায় চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট কার্যকর, এমনকি ব্রেক্সিট বাতিল হয়ে যেতে পারে বলেও শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
Leave a reply