নিজস্ব প্রতিবেদক, নওগাঁ.
কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সব পক্ষকেই লাভবান করতে আগামীতে অচল হাসকিং চাউল কলগুলো সচল করা হবে এবং প্রয়োজনে নীতিমালা পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ শনিবার দুপুরে নওগাঁ শহরের ঠিকানা কমিউনিটি সেন্টারে জেলা চাউল কল মালিক গ্রুপ আয়োজিত এক সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা চাউল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলাম রফিক।
মন্ত্রী বলেন, চালের বাজার দর সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হবে এবং একইসাথে কৃষকদের উৎপাদিত ধানের নায্য মূল নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য বড় মিলার ও চাল ব্যবসায়ীদের আন্তরিকতা ও সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
এর আগে মন্ত্রী নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় পরিদর্শন করেন। সেকানে তিনি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন ও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, নওগাঁ- ৩ আসনের এমপি ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম, নওগাঁ সদর আসনের এমপি ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন, জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমান, জেলা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল, নওগাঁ জেলা চাউল কল মালিক গ্রুপের সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, জেলা ধান চাউল আরতদার সমিতির সভাপতি নিরোদ বরন সাহা চন্দন, মিল মালিক নূরুল ইসলাম প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে চালকল মালিক গ্রুপের নেতৃবৃন্দ বেশ কিছু দাবি তুলে বলেন- দেশের চাহিকৃত চাল উৎপাদনে নিয়োজিত হাজার-হাজার অটো ও হাসকিং মিলকে টিকিয়ে রাখার জন্য এই খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষনা করা প্রয়োজন। এছাড়া নওগাঁ জেলায় সিএসডি ও প্রতিটি উপজেলায় দুই হাজার মেট্রিক টন ধারন ক্ষমতার গুদাম নির্মান ও পুরাতন অকেজো খাদ্য গুদামকে দ্রুত মেরামত, সারা বছর সংগ্রহ কার্যক্রম রাখাসহ ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন মিলাররা।
অনুষ্ঠানে মিলাররা বলেন- দেশে পর্যাপ্ত পরিমান খাদ্যশস্য আছে। তাই চালের দর বৃদ্ধির কোন শংকা নেই। বরং ক্রমেই চালের দর নিম্নমূখী। এখনও সরকারি ভাবে বেঁধে দেওয়া দরের নিচেই রয়েছে খোলা বাজারে চালের বাজার দর। কিছু মিডিয়া গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
মিলাররা বলেন- খোলা বাজারে চালের দর সরকারি দরের সাথে সামঞ্জস্য না থাকলে কৃষকরা ধানের নায্য দাম পাবে না। কৃষকরা যাতে ধানের নায্য দাম পান সেদিক খেয়াল রাখতে হবে। একইসাথে চাউল কলগুলো যাতে সারাবছর নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে সচল থেকে চাল উৎপাদন ঠিক রাখতে পারে সেদিকে সরকারের নজরদারী প্রত্যাশা করেন তারা।
Leave a reply