সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। রোববার রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে করা পৃথক ১৫টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। এর মধ্যে ১১টি মামলায় তার অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
মানহানির অভিযোগসহ মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে মোট মামলা রয়েছে ২২টি। এ নিয়ে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৯টি মামলার কার্যক্রম স্থগিত ও ১৬টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন। পৃথক মামলা বাতিল চেয়ে ও জামিন চেয়ে মইনুল হোসেন আবেদনগুলো করলে এ শুনানি হয়।
আদালতে মইনুল হোসেনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. আবদুর রহিম ও এ কে খান উজ্জ্বল। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খুরশীদুল আলম।
গত ১৬ অক্টোবর বেসরকারি টেলিভিশন একাত্তরের টক শোতে এসে একপর্যায়ে এক নারী সাংবাদিককে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করেন মইনুল হোসেন।
এ ঘটনায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত ২২টি মামলা হয়েছে। ২০টি মানহানির মামলা এবং অপর ২টি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
এর মধ্যে ২ অক্টোবর রাতে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
Leave a reply