আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশ ডেন্টালের শেষ বর্ষের ছাত্র। বন্ধু ইমতিয়াজ আলম রাশুকে নিয়ে গিয়েছিলেন প্র্যাকটিস চেম্বারে। আর কয়েক মাস পরেই পুরোপুরি ডাক্তার হয়ে বের হওয়ার কথা। হলো না। আগুনে পুড়ে গেছে সারা জীবনের স্বপ্ন। দুই বন্ধুকে খুঁজে না পেয়ে সারারাত খোঁজাখুজি করেছেন বন্ধুরা। শেষমেশ ভগ্ন হৃদয়ে ভিড় করেন মর্গে। আর সেখানেই কিনা মিললো বন্ধুদের মরদেহ! এ খুঁজে পাওয়ায় তো স্বস্তি নেই, তাদের আহাজারিতে ভারি হয় মর্গের বাতাস।
বন্ধুরা জানায়, দুপুর পর্যন্ত একসাথে ছিলেন মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে। বিকেলে তারা চলে যান চকবাজারের চেম্বারে। আগুন লাগার পর আর সেখান থেকে বের হতে পারেননি।
বাবাসহ মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিয়েছেন আরেক আশরাফুল। চার বছরের ফুটফুটে শিশু। জগতের কিছুই তো দেখা হলো না, ভোগ করে ফেললো নারকীয় যন্ত্রণা!
নানীর বাসা থেকে বাবার সাথে নিজের বাসায় যাবে। সেজন্য বাবার দোকানে গিয়েছিল ছোট আশরাফুল। দোকানে বাবা তার বাবা অপু আর চাচা আলম ছিলেন। দোকান বন্ধ করে বাসা রাওনা দিবেন, তখনই হঠাৎ আগুন। উপায়ন্ত না দেখে দোকানে ঢুকে অপেক্ষা করতে থাকেন আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য। কিন্তু, অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়নি। সেখানেই দগ্ধ হন তিনজন। তাদের বাসা রহমতগঞ্জ সাততলা মসজিদ এলাকায়।
ভিন্ন বয়সের, ভিন্ন পথের দুই আশরাফুলের স্বজনদের বেদনা আজ যেন এক ও অভিন্ন।
যমুনা অনলাইন: টিএফ
Leave a reply