দেশ, সমাজ, সরকার এবং ভ্লাদিমির পুতিন-সহ যে কোনো সরকারি আধিকারিকের প্রতি অসম্মান জানিয়ে কেউ কোনো পোস্ট করলে তাঁর জরিমানা হবে, এমনকি জেলও হতে পারে। এমনই একটি আইন পাশ করল রাশিয়ান পার্লামেন্ট।
অনলাইন ইউজারদের ১ লক্ষ রুবল (১,০৬,৩১৫ টাকা) পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। দ্বিতীয় বার একই ‘অপরাধ’ করলে জরিমানার পরিমাণ দ্বিগুণ হবে।
মস্কোর সোভা সেন্টারের প্রধান আলেকজান্ডার ভারকোভস্কি মন্তব্য করেছেন, রাশিয়ার পার্লামেন্ট নিয়ে ঠাট্টাতামাশা করলে বা প্রেসিডেন্ট পুতিনকে নিয়ে কোনো অশ্রদ্ধাসূচক মন্তব্য করলে তাঁকে অভিযুক্ত করা হবে। ভারকোভস্কির এই মন্তব্যের পরে দেশ জুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
নতুন আইনটির শব্দমালায় যে অস্পষ্টতা রয়েছে তা নিয়েও অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সমালোচকরা মনে করেন, এই আইনের অপব্যবহার করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আইন অনুযায়ী, অনলাইনে সরকারি আধিকারিকদের সমালোচনাসূচক যে কোনো মন্তব্যকেই ‘অসম্মানজনক’ বলে ধরে নেওয়া হতে পারে।
নতুন আইন অনুযায়ী সরকারি আধিকারিক কোনো অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত কোনো সংবাদ যদি ‘ফেক’ বা ‘জালি’ বলে মনে করেন, তা হলে তিনি সেই মাধ্যমকে ব্লক করে দিতে পারেন অথবা জরিমানা করতে পারেন।
ব্যক্তির অধিকার নিয়ে সরব গোষ্ঠীগুলি বলেছে, এই আইন কার্যত সেন্সরশিপ।
নতুন আইনে কোনটি ‘ফেক নিউজ’ তা ঠিক করার ভার দেওয়া হয়েছে বাদী পক্ষকে এবং ওই নিউজ বাতিল করতে বলার জন্য ‘নিউজ ওয়াচডগ’কে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যে ওয়েবসাইট ‘নিউজ ওয়াচডগ’-এর নির্দেশ অমান্য করবে তাকে ব্লক করে দেওয়া হবে। আর এই ‘অপরাধে’ যদি মৃত্যু বা দাঙ্গা হয়, তা হলে দেড় লক্ষ রুবল (২২,৭০০ ডলারেরও বেশি) জরিমানা করা হবে।
যে সংগঠনটি সংবাদ মাধ্যমের অধিকার নিয়ে বরাবর লড়াই করে এসেছে সেই ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’ মন্তব্য করেছে, “এ তো সেন্সরশিপ-এর চেয়েও ভয়ংকর!”
Leave a reply