ইয়োতি আয়ানু আর তার স্ত্রী ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন, ‘দয়া করে আপনারা হালাল খাবার দিয়ে আমাদের সহায়তা করুন।’ ক্রাইস্টচার্চের বাসিন্দা এই দম্পতি থাকেন স্থানীয় হাসপাতালের পাশে। ওখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন শতাধিক আহত মানুষ।
তারা শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে শ্বেতাঙ্গ এক সন্ত্রাসীর গুলিতে আহত হয়েছেন। আহত এবং নিহতদের অসংখ্য স্বজন ও শুভাকাঙ্খি দূর দূরান্ত থেকে এসে জড়ো হয়েছে হাসপাতাল এলাকায়। দিনরাত তাদের ওখানেই কাটছে। এই শোকাহত মানুষগুলোর জন্যই খাবারের ব্যবস্থা করতে চান ইয়োতি দম্পতি।
আল জাজিরা জানিয়েছে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ শহরের বাসিন্দারা এগিয়ে আসছেন শোকাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহায়তার জন্য। মুসলিমরা হালাল খাবার ছাড়া অন্য কিছু খাবেন না। তাই সেভাবেই ব্যবস্থা করতে হচ্ছে তাদেরকে। ইহুদি-খ্রিষ্টান-শিখ সবাই যার যার সাধ্যমতো সহায়তা করছেন ভুক্তভোগীদের।
বার্তা সংস্থা এএফপি’কে ইয়োতি জানিয়েছেন, মানুষজন হালাল খাবার নিয়ে এসে হাসপাতালের বাইরে লম্বা লাইন ধরে দাঁড়িয়েছিলেন। এত খাবার এসেছে যে, এক পর্যায়ে আমাদেরকে নতুন করে ঘোষণা দিতে হয়েছে যে, আর খাবার লাগবে না।
অকল্পনীয় হামলার পর পুলিশ গতকাল একদিনের জন্য মসজিদগুলো বন্ধ রাখতে বলেছিল। এরপর থেকে মুসলিমরা একা বাইরে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। এমন অবস্থায় অনেক স্থানীয় নন-মুসলিম বাসিন্দা রাস্তায় মুসলিমদের সঙ্গ দিচ্ছেন।
স্থানীয় শিখ কমিউনিটির সদস্যরা নিহতদের গোসল করানো এবং কবর খোড়ার দায়িত্ব নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে। নিউজিল্যান্ড ভিত্তিক অনুদান সংগ্রহ ওয়েবসাইট Givealittle শনিবার ভিজিটরদের চাপে বেশ কিছুক্ষণের জন্য ডাউন ছিল। ৪০ হাজারের বেশি অনুদান দাতা ৩ মিলিয়ন প্রায় মার্কিন ডলার (৮ কোটি টাকার বেশি) দান করেছেন শনিবার বিকাল পর্যন্ত।
LaunchGood অন্য আরেকটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ২৩ হাজার জন হতাতদের জন্য অনুদান দিয়েছেন। দানকারীরা হতাহত ও তাদের স্বজনদের জন্য ভালোবাসার কথাও জানাচ্ছেন ওয়েবসাইটগুলোতে।
Leave a reply