ধানের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

|

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে ৭ বিঘা জমির ইরি-বোরো ধান ক্ষেত কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, প্রতিপক্ষ ফেরদাউস ও মকবুল হোসেন লোকজন নিয়ে রাতের আধারে এসব ধান ক্ষেত কেটে নষ্ট করেছে। এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগী পরিবারের।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ভোর রাতে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের মরাদাতেয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হলেন, মরাদাতেয়া গ্রামের মৃত সদল হোসেনের ছেলে ছইত উল্লাহ, মন্টু মিয়া ও মৃত আবুল হোসেনের ছেলে সাদা মিয়া।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ছইত উল্লা বলেন, প্রতিবেশি ফেরদৌস ও মকবুল হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। মরাদাতেয়া মৌজায় ৭ বিঘা জমিতে ইরি-বোরো ধান রোপন করেন তারা। ধানের চারাগুলো বেশ বড় হয়ে উঠেছে। এবার জমি থেকে ভালো ফলনের আশা করছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে জমিতে গিয়ে রোপন করা ধান ক্ষেত কেটে ফেলা দেখতে পান।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের অভিযোগ, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই প্রতিপক্ষ ফেরদৌস ও মকবুল হোসেন লোকজন নিয়ে রাতের আধারে জমির ধানের চারা কেটে নষ্ট করেছেন। এতে প্রায় আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছেন তারা। ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক মকবুল হোসেন বলেন, ধান ক্ষেত কেটে নষ্টের ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়। পরে ক্ষতিগ্রস্ত জমি পরিদর্শন করেন হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফেরদাউস, মকবুল হোসেনসহ তার লোকজনের বিরুদ্ধে পলাশবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তবে অভিযোগটি এখনও মামলা হিসেবে রুজু করেনি পুলিশ।

পলাশবাড়ী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মজিবর রহমান বলেন, ফসলের সঙ্গে শত্রুতার ঘটনাটি অমানবিক। এমন ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। এজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিফজুর আলম মুন্সি জানান, কৃষকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা ও তাদের গ্রেফতার করা হবে।

এদিকে, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ফেরদাউস ও মকবুল হোসেন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। তাদের মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply