টেন্ডার ছাড়া ১৩৮ গুণ বেশি দামে প্রিপেইড মিটার কিনছে ডেসকো। সিঙ্গেল ফেইজের যে মিটার ২ হাজার ৩শ’ ৩৭ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, সেটিই তাড়াহুড়ো করে সরাসরি ৫ হাজার ৫শ’ ৫০ টাকায় কিনছে তারা। আর থ্রি ফেইজের প্রতিটি মিটার কিনছে ১৩ হাজার ৩শ’ ৪০ টাকা বাড়তি দামে। সরাসরি এমন দুই লাখ মিটার কিনতে রাষ্ট্রের নিট ক্ষতি হচ্ছে প্রায় ১০৫ কোটি টাকা।
টেলিফোন শিল্প সংস্থা। প্রতিষ্ঠানটির মূল কাজ টেলিফোন সেট তৈরি। সে কাজে নেই সফলতা, ব্যর্থ হয়েছে দেশিয় ব্র্যান্ডের দোয়েল ল্যাপটপ প্রকল্পও। সেই টেশিসের কাছ থেকেই প্রিপেইড মিটার কিনে ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড-ডেসকো।
নতুন করে মিটার কিনতে বছরের শুরুতে দরপত্র আহ্বান করে ডেসকো। সেটি ১৬ জানুয়ারি খোলার কথা ছিল। কিন্তু ঠিক আগের দিন, ১৫ জানুয়ারি টেশিসকে ২ লাখ মিটার সরবরাহ করার কার্যাদেশ দেয় ডেসকো। এতে প্রশ্ন উঠে, তড়িঘড়ি করে কেন বিনা টেন্ডারে এই মিটার কেনা?
জানা যায়, টেশিস থেকে যে দামে সিঙ্গেল ও থ্রি ফেইজের মিটার কিনছে ডেসকো, তা বাজারদরের চেয়ে শতগুণেরও বেশি। অন্য সব কোম্পানি একই মিটার কেনে প্রায় অর্ধেক দামে।
খোদ ডেসকো’র টেন্ডারের দাম ও সরাসরি কেনার মধ্যেও আকাশ পাতাল তফাৎ। প্রতিটি সিঙ্গেল ফেইজে ৩২১৩ ও থ্রি ফেইজের মিটারে বাড়তি গুণতে হচ্ছে ১৩ হাজার ৩শ ৪০ টাকা। সেই হিসেবে দু’লাখ মিটারে টেশিসকে একশ কোটি টাকারও বেশি দিচ্ছে ডেসকো।
এর আগেও বিনা টেন্ডারে প্রিপেইড মিটার ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠলে সেটি খতিয়ে দেখার নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা।
এবিষয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, যদি কোন অনিয়ম পাওয়া যায়, বিশেষ করে কেনা কাটায় তাহলে অবশ্যই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
Leave a reply