নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, ‘এখন আমার সব ধ্যান তাদের ঘিরে যারা এই (ক্রাইস্টচার্চে হামলা) ঘটনায় অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্যে রয়েছেন। সমগ্র নিউজিল্যান্ডবাসীর মতো আমিও আমার হৃদয়ের সব ভালোবাসা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মুসলমান সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছি। আমি এও বলছি, আমি তাদের পাশে আছি।’
গত বৃহস্পতিবার বিকালে বাংলাদেশি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সাঈদ এনামকে পাঠানো ইমেইল বার্তায় নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বর্তমানে ডা. সাঈদ এনাম সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।
বাংলাদেশি ওই চিকিৎসকের উদ্দেশে নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমার সব চিন্তা ভালোবাসা তাদের ঘিরেই যারা এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তাদের প্রতি আমার এ ভালোবাসা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা থাকবে আজীবন।’
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদের হামলার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নকে ইমেইল করেছিলেন বাংলাদেশের এক চিকিৎসক। ওই ইমেইলে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্নের ভূমিকা ও তার কিছু বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন বাংলাদেশি চিকিৎসক।
এ ব্যাপারে ডা. সাঈদ এনাম বলেন, ‘জাসিন্ডা আরডার্ন আমার সেই মেইলের রিপ্লাই দিয়ে ধন্যবাদ দিলেন। এটা অটো রিপ্লাই নয়। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ধন্যবাদ ও মতামত জানানো হয়। আমার মতো একজন ব্যক্তির মেইলের জবাব দিয়ে তিনি আবারো প্রমাণ করলেন, তিনি সত্যিই একজন মহানুভব নেতা’।
এনাম জানান, নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার কার্যালয়ের একান্ত সচিব ডায়না অকেবা ডা. সাঈদ এনামকে মেইলটি প্রেরণ করেন।
ডা. সাঈদ এনামের সেই মেইলের জবাবে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা তুলে ধরা হলো-
‘ধন্যবাদ তোমাকে মেইলের জন্য, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এমন সময়ে হাজারো মানুষের সমর্থন সাহসে আর পাশে পেয়ে অনুপ্রাণিত। এখন আমার সব ধ্যান তাদের ঘিরে যারা এই ঘটনায় অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের মধ্যে রয়েছেন।’
‘সমগ্র নিউজিল্যান্ডবাসীর মতো আমিও আমার হৃদয়ের সব ভালোবাসা দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মুসলমান সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছি। আ আমি এও বলছি, আমি তাদের পাশে আছি। আমার সব চিন্তা ভালোবাসা তাদের ঘিরেই যারা এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং তাদের প্রতি আমার এ ভালোবাসা, সহযোগিতা, সহমর্মিতা থাকবে আজীবন।’
‘নিউজিল্যান্ডের জন্য এটা এখন বিষাদময় সময়। এমন পরিস্থিতির সম্মুখে আমরা কখনও মুখোমুখি হয়নি, কিন্তু এমন মুহূর্তে দেশ ও দেশের বাইরে সবার সহমর্মিতা ভালোবাসা পেয়ে আমার মনে হচ্ছে আমরা সবাই এক। সব শক্তি নিয়ে আমাদের সবাইকে এগিয়ে যেতে হবে। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।’
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল নুর ও লিনউড মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হন ৫০ জন। কট্টর শ্বেতাঙ্গ বর্ণবাদী ২৮ বছরের ব্রেনটন ট্যারেন্ট এ হত্যাযজ্ঞ চালায়। নিহতদের মধ্যে ৫ জন বাংলাদেশি ও ৯ জন পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছেন।
(সূত্র: যুগান্তর)
Leave a reply